আনিস আলমগীর: মৃত্যুদণ্ডের এই সিদ্ধান্ত ধর্ষণ নির্যাতন কতোটা বন্ধ করতে পারবে এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে সরকার যদি আইন করে বসে না থেকে আইনের প্রয়োগে তদারকি করে, এনজিও-সামাজিক সংগঠনগুলো যদি তাদের আওয়াজ বন্ধ না করে, তাহলে ধর্ষণের এই মহামারি থামতে বাধ্য। ধর্ষণ, ধর্ষকের প্রতি মানুষের ক্ষোভ-ঘৃণা বেড়েছে। এর পাশাপাশি জরুরি দরকার ধর্ষণের শিকার নারীর প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, তাকে ধর্ষণ পরবর্তী সময়ে সমাজে যে নিগ্রহের মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা থেকে রক্ষা করা। এ কাজে মিডিয়াও ভূমিকা রাখতে পারে।
বর্তমান সরকার টানা দীর্ঘ এক যুগ ক্ষমতায়। সুতরাং অ্যান্টি-স্টাবলিশমেন্ট ট্রেন্ডে সরকারের জনসমর্থনের পাল্লা কিছুটা দুর্বল থাকা বিচিত্র নয়। সেই সুযোগ নিয়ে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভকারীদের এই ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করতেও দেখা যাচ্ছে। বিক্ষোভকারীরাও বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ নয়, রাজনৈতিক দলের মোটিভেটেড কর্মী। এদের অনেকে শুরুতে ধর্ষকের ফাঁসি চেয়েছেন কিন্তু সরকার তা দিতে রাজি হওয়ায় এখন কেউ কেউ সুর পাল্টাচ্ছেন।
কেউ কেউ বলছেন ধর্ষণের জন্য দুই মিনিটের ফাঁসি লঘু শাস্তি বলে গণ্য হবে, ৫০ বছরের কারাদণ্ড দিতে হবে। আসলে বিক্ষোভকারীদের মুখে এক, অন্তরে আরেক বাসনা থাকলে কোনো আন্দোলনই সফল করা যায় না। স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনটিরও সফলতা আসেনি একই কারণে। রাজপথের আন্দোলন নিয়ে বিরোধী দলগুলোর আকাক্সক্ষা সম্পর্কে তাদের মধ্যে সমন্বিত কোনো পরিকল্পনা যদিও এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না, তবু সবাই যে তলে তলে সরকারের পতন চায়, এটা অনেকটা অবধারিত। ধর্ষণ নিয়ে মাঠ গরম করে জনসমর্থন আদায়ে সফল হলে, দ্বিতীয় ধাপে হয়তো তারা সরকার পতনের দাবি উত্থাপন করতে চাইবে। এ আন্দোলনে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুর নেতৃত্বেও কিছু লোক অংশ নিচ্ছে। কিন্তু নুরুকে বিএনপি বিশ্বাস করে না। নুরুর নাটাই নাকি প্রধানমন্ত্রীর হাতে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :