আহসান হাবিব: ধর্ষণ কী খুনের চেয়ে নৃশংস। না, তাহলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানুষ কেন এতো সোচ্চার? এর পেছনে একটাই কারণ ধর্ম। যখন কোনো নারী ধর্ষিত হয়, ধর্ম তাকে অসতী উপাধি দেয়। অসতী মানে হচ্ছে শারীরিকভাবে অপবিত্র। অপবিত্র মানে যা ছোঁয়া যাবে না, সম্পর্ক করা যাবে না। সমাজ তাকে হীন এবং পতিত চোখে দেখতে শুরু করে। ধর্ষিত নারীটি নিজেকে অপাঙতেয় ভাবতে বাধ্য হয়। অথচ এই ঘটনায় তার নিজের কোনো হাত বা ভূমিকা নেই। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন শাস্তি তাকেই বহন করতে হয়। অথচ হওয়া উচিত ছিলো সম্পূর্ণ উল্টো। ধর্ষককে বলা উচিত ছিলো অসৎ, পতিত এবং করা উচিত ছিলো সামাজিকভাবে বয়কট সঙ্গে আইনি শাস্তিতো বটেই।
ধর্ম কেন নারীর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়? কারণ প্রতিটি ধর্ম পুরুষতান্ত্রিক নির্মাণ। ধর্ম হচ্ছে পুরুষতন্ত্রের এক নম্বর হাতিয়ার। পুরুষ নারীর ওপর যতোই অপরাধ করুক, পার পেয়ে যায় সে, যেমন সে সবচেয়ে নৃশংস অপরাধ ধর্ষণের বেলায় পায়। নারী সারাজীবনের জন্য পতিত হয়ে পড়ে এবং ক্ষত চিহ্ন লাঞ্ছিত জীবন যাপন করে, আত্মহত্যাও করতে হয় এই অপবাদ থেকে বাঁচবার জন্য। এখন দরকার ধর্ষণকে একটি নৃশংস অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, যার সঙ্গে নারীর অসতী অপবিত্র হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। নারী নয়, এর ফলে সমস্ত শাস্তি পুরুষের প্রাপ্য। শাস্তি এবং সামাজিক বয়কট যদি করতে হয়, তবে করতে হবে ধর্ষক পুরুষকে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :