শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:০০ সকাল
আপডেট : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব: ধর্ষণ কি খুনের চেয়ে নৃশংস? 

আহসান হাবিব: ধর্ষণ কী খুনের চেয়ে নৃশংস। না, তাহলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে মানুষ কেন এতো সোচ্চার? এর পেছনে একটাই কারণ ধর্ম। যখন কোনো নারী ধর্ষিত হয়, ধর্ম তাকে অসতী উপাধি দেয়। অসতী মানে হচ্ছে শারীরিকভাবে অপবিত্র। অপবিত্র মানে যা ছোঁয়া যাবে না, সম্পর্ক করা যাবে না। সমাজ তাকে হীন এবং পতিত চোখে দেখতে শুরু করে। ধর্ষিত নারীটি নিজেকে অপাঙতেয় ভাবতে বাধ্য হয়। অথচ এই ঘটনায় তার নিজের কোনো হাত বা ভূমিকা নেই। কিন্তু সবচেয়ে কঠিন শাস্তি তাকেই বহন করতে হয়। অথচ হওয়া উচিত ছিলো সম্পূর্ণ উল্টো। ধর্ষককে বলা উচিত ছিলো অসৎ, পতিত এবং করা উচিত ছিলো সামাজিকভাবে বয়কট সঙ্গে আইনি শাস্তিতো বটেই।

ধর্ম কেন নারীর বিরুদ্ধে দাঁড়ায়? কারণ প্রতিটি ধর্ম পুরুষতান্ত্রিক নির্মাণ। ধর্ম হচ্ছে পুরুষতন্ত্রের এক নম্বর হাতিয়ার। পুরুষ নারীর ওপর যতোই অপরাধ করুক, পার পেয়ে যায় সে, যেমন সে সবচেয়ে নৃশংস অপরাধ ধর্ষণের বেলায় পায়। নারী সারাজীবনের জন্য পতিত হয়ে পড়ে এবং ক্ষত চিহ্ন লাঞ্ছিত জীবন যাপন করে, আত্মহত্যাও করতে হয় এই অপবাদ থেকে বাঁচবার জন্য। এখন দরকার ধর্ষণকে একটি নৃশংস অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, যার সঙ্গে নারীর অসতী অপবিত্র হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। নারী নয়, এর ফলে সমস্ত শাস্তি পুরুষের প্রাপ্য। শাস্তি এবং সামাজিক বয়কট যদি করতে হয়, তবে করতে হবে ধর্ষক পুরুষকে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়