রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন ওষুধ কোম্পানি জনসন অ্যান্ড জনসনের পরে এ মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সম্ভাব্য করোনা টিকার ট্রায়াল বন্ধ করে দিল। সাময়িকভাবেই ট্রায়াল বন্ধ করার কথা জানিয়ে ত্রুটি মুক্ত হলে ফের ট্রায়াল শুরুর আশ^াস দিয়েছে এলি লিলি। টাইমস অব ইন্ডিয়া
[৩] করোনার প্রতিষেধক হিসেবে অ্যান্টিবডি থেরাপি করছিল এলি লিলি। সার্স-কভ-২ ভাইরাসের প্রতিরোধী এ অ্যান্টিবডি স্ক্রিনিং করে ল্যাবরেটরিতে বিশেষ উপায় পিউরিফিকেশনের পরে তা মানুষের শরীরে ইনজেক্ট করা হচ্ছিল। ভাইরাল স্ট্রেন শরীরে না ঢুকিয়ে সরাসরি অ্যান্টিবডি ট্রিটমেন্টেই করোনা কাবু বলেই দাবি করেছিলেন এলি লিলির ভাইরোলজিস্টরা। কানাডার বায়োটেক ফার্মের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করছিল এলি লিলি।
[৪] বিশ্বজুড়ে করোনা চিকিৎসায় যখন অ্যান্টিবডি থেরাপির কথা ভাবা হচ্ছিল, এলি লিলি তখন ল্যাবে তৈরি অ্যান্টিবডির পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে দেয়। বর্তমানে তৃতীয় পর্বের ট্রায়াল চলছিল সংস্থার। প্রায় ১০ হাজার কোভিড রোগীর উপরে অ্যান্টিবডি থেরাপি করেছে এই মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল।
[৫] এলি লিলির সিইও ডেভিড রিকস বলেছেন, ট্রায়ালের মাঝে কিছু সমস্যা দেখা দেয়। তাই স্বেচ্ছাসেবকদের সুরক্ষার কথা ভেবে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। সমস্যা খতিয়ে দেখছেন ভাইরোলজিস্টরা। সেফটি ট্রায়ালের পরে রিপোর্ট রেগুলেটরি কমিটিকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সুরক্ষার ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিশ্চিত হয়েই ফের অ্যান্টিবডি থেরাপি শুরু হবে।
[৬] করোনা ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাকসিনের ট্রায়াল মাঝপথেই বন্ধ করে দেয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা। টিকার ডোজ নেওয়ার পরেই এক নারী স্বেচ্ছাসেবক স্নায়ুর রোগে আক্রান্ত হন। পরে জানানো হয় ওই নারীর যে স্নায়ুর রোগ ধরা পড়েছিল তার কারণ অন্য কিছু হতে পারে। ব্রিটেনের ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির অনুমোদনে টিকার ট্রায়াল ফের শুরু করেছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা।