তপু সরকার: [২] সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা । শেরপুরের মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
[৩] এর মধ্যে খড়, মাটি আর দো-আঁশ মাটি দিয়ে প্রতিমা তৈরি কাজ শেষের পথে । তবে এ বছর করোনা ভাইরাসের কারণে জাঁকজমক পূর্ণভাবে না হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূর্গাপূজা আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।
[৪] শেরপুর পূজা উদযাপন পরিষদ, সূত্রে জানা গেছে, এ বছর শেরপুর জেলায় ১৪২ টি মন্দিরে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪২টি মন্দিরে, নালিতাবাড়িতে ৩৫টি মন্দিরে, শ্রীবরদিতে ১০টি মন্দিরে, ঝিনাইগাতিতে ১৭টি এবং নকলায় ১৮ টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শেরপুর জেলায় বিভিন্ন মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়া অনুষ্ঠিত হবার পরপরই শেরপুরের মন্দিরগুলোতে শুরু হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ।
[৫] আগামী ২১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠিকতা, চলবে আগামী ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
[৬] দেবী মা দুর্গা তার সঙ্গে বিদ্যার দেবী স্বরসতী, ধন সম্পদের দেবী লক্ষ্মী এবং তার সঙ্গে দেবতা কার্তিক ও গনেশসহ নানা দেব-দেবীর প্রতিমার রূপকে ফুটিয়ে তুলবেন নিপুন হাতের ছোঁয়ায়। এদিকে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এবছর জাঁকজমকভাবে পূজার আয়োজন করছেন না আয়োজকেরা।
[৭] তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের প্রতিমা ও পূজা দেখার ব্যবস্থা করছেন তারা। মন্দিরগুলোতে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকলেও থাকবে না সড়কগুলোতে। প্রতিমা শিল্পী পঞ্চনন পাল, রনজিৎ পাল, রবীন্দ্রনাথ দে , স›জত নাগ জানান, এ বছর এক একজন ভাস্কর ৪ থেকে ৬ টি করে প্রতিমা তৈরি করছেন। পূঁজা শুরুর দিন পর্যন্ত রঙ-এর কাজ করতে হবে
[৮] বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শেরপুর জেলা শাখার সভাপতি এড. সুব্রত দে ভানু আশা প্রকাশ করে বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির জেলা শেরপুর। তাই দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এবারের পূজা অনুষ্ঠিত হবে। করোনা ভাইরাস প্রাদূর্ভাবের জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে শুধুমাত্র মন্দিরের ভিতরে আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। তবে এবার সড়কগুলোতে আলোকসজ্জা, মাইক, গান-বাজনার ব্যবস্থা বাদ দিয়ে অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ