মহিউদ্দিন আহমদ: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। এটি ভালো। এজন্য সরকারকে অভিনন্দন। আমাদের মতো দেশে এ ধরনের চরম দণ্ড আপাতত থাকা উচিত। ২০৪২ সালে আমরা যখন উন্নত দেশ হয়ে যাব, তখন মৃত্যুদণ্ড ওঠে যাবে। কেননা উন্নত সমাজের সংস্কৃতির সঙ্গে এটা বেমানান। প্রশ্ন হলো বিচারের রায় কার্যকর করা নিয়ে। এজন্য আরও কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে এটা হবে স্ট্যান্টবাজি। কী কী করতে হবে। [১] ১ মাসের মধ্যে পুলিশকে চার্জশিট দিতে হবে। তা না হলে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার চাকরি যাবে। [২] বিশেষ ট্রাইবুনালে ৩ মাসের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে। তা না হলে পাবলিক প্রসিকিউটরের চাকরি যাবে। [৩] তিন মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতের স্পেশাল বেঞ্চে আপিল প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটরের চাকরি যাবে। [৪] রাষ্ট্রপতির সাজা মওকুফ কিংবা কমানোর ক্ষমতা রহিত করতে হবে। ক্ষমতা পেলে আমি এসব বিধান করতাম। দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য এগুলো খুবই জরুরি।
নির্বাচিত মন্তব্য : আহমেদ মুসা : ধর্ষণ করে শক্তিমানেরা, সরকারি দলের সঙ্গে যুক্ত থাকলে সোনায় সোহাগা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ধর্ষণের খবর নিয়ে থানায় যাওয়া দূরের কথা, ধর্ষিতা ও তার পরিবার নানান কারণে চেপে যায়। তারা জানে বিচার এখন পাওয়ার ব্যাপার নয়, অর্জনের ব্যাপার । অর্থ বা ক্ষমতা প্রয়োগ করে। খবরটি ভাইরাল হলে ভিন্ন কথা। কিন্তু কয়জনের ক্ষেত্রে সেটা হয়ে থাকে। ভাইরালের ওপর ভরসা করতে হবে মানুষকে। একজনের স্ট্যাটাসে দেখলাম গত ৯ মাসে ৯৭৫ জন ধর্ষিত হয়েছে। এসবের কয়টির খবর মানুষ জানে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা না গেলে নতুন, পুরাতন সব আইন ব্যর্থ হবে । এই নিয়ে আমি আজ একটি ছোট্ট স্ট্যাটাস দিয়েছি। চলতি আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে জনগণের ভোটে পাস করা আই-প্রণেতা প্রাপ্তি এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :