ডেস্ক রিপোর্ট : ১৪ মাস গৃহবন্দি থাকার পর মঙ্গলবার মুক্তি পেলেন পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র প্রেসিডেন্ট মেহবুবা মুফতি। এ দিন রাত পৌনে ১০টা নাগাদ তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। মেহবুবার মুক্তির বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর সরকারের মুখপাত্র রোহিত কানসাল। কতদিন কোনও রাজনৈতিক নেত্রীকে আটকে রাখা যাবে। এই সন্দেহ প্রকাশের পরই মঙ্গলবার রাতে এই সিদ্ধান্তের কথা বলেন কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র রোহিত কানসাল।
মুক্তি পাওয়ার পর নিজের জীবনের কঠিন সময়ের কথা ট্যুইটারে ভিডিও করে শেয়ার করলেন মেহবুবা মুফতি। এবং জম্মু কাশ্মীরের লড়াই চলবে। যাদের আটকে রাখা হয়েছে তাঁদেরকেও ছাড়তে হবে। তিনি জানিয়েছেন নিজের কঠিন সময়ের কথা। সেই সঙ্গে সমালোচনাও করেছেন। বাকি যাদের আটক রাখা হয়েছে সকলকে আবেদন করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর ২০১৯-এর ৫ অগস্টে জম্মু-কাশ্মীরের তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি-সহ কাশ্মীরের বহু রাজনীতিককে আটক করে কেন্দ্র। এ বছরের গোড়াতে ওমর, ফারুখ-সহ কয়েক জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও মেহবুবাকে গৃহবন্দি করেই রাখা হয়। বার বার নানা অছিলায় তাঁর গৃহবন্দির সময়কাল বাড়ানো হয় বলে অভিযোগ। গত জুলাইয়ে তিন মাসের জন্য মেহবুবার গৃহবন্দির সময়কাল বাড়িয়েছিল প্রশাসন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের পর মেহবুবাকে প্রথমে দু’টি সরকারি বাসস্থানে আট মাস গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তার পর এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁকে ফের আটক করা হয় জন নিরাপত্তা আইনে। পর তাঁর বাসভবন ‘ফেয়ার ভিউ’য়ে স্থানান্তরিত করা হয় মেহবুবাকে। সেই বাসভবনকে অস্থায়ী জেলে পরিণত করা হয় এবং সেখানেই গৃহবন্দি করে রাখা হয় পিডিপি নেত্রীকে। ২০১৯-এর ওই দিনটিকে 'কালা দিন' বললেন মুফতি।
তাঁর মুক্তির আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে যান তাঁর কন্যা। সেই মামলা চলছিল, তার মধ্যেই মেহবুবাকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। জুলাই মাসে পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট অনুযায়ী তিন মাসের জন্য মেহবুবা মুফতির আটকের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। সেই আদেশ নতুন করে ফের দিল না কেন্দ্র।
আপনার মতামত লিখুন :