লিহান লিমা: [২] প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবীতে চলমান আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রয়োজনে পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র চালানোর অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেলারুশের সরকার। ভয়েস অব আমেরিকা
[৩]স্থানীয় সময় সোমবার এক বিবৃতিতে দেশটির উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিক্ষোভকারীদের র্যালি এখন সংঘবদ্ধ এবং চরম সহিংসতায় পরিণত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মী এবং অভ্যন্তরীণ বাহিনী রাজপথ ছেড়ে দেবে না, যদি প্রয়োজন হয়, বিশেষ সামগ্রী এবং আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হবে।’
[৪]স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, রোববার ৭’শরও বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৭০জনকে আদালতের শুনানিতে উপস্থিত করানোর জন্য এখনো আটক রাখা হয়েছে। সোমবার প্রায় ২ হাজারের বেশি বয়স্ক মানুষ রাস্তায় নেমে ‘মার্চ অব পেনশনার’ বিক্ষোভ করে। তারা লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ দাবী করে এবং বিরোধী দলের পতাকা নিয়ে র্যালী করে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর ফ্ল্যার গান ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
[৫]গত সোমবার ইউরোপিয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা লুকাশেঙ্কো ও বেলারুশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞারোপ করতে সম্মত হয়েছেন। ইতোপূর্বে ইইউ লুকাশেঙ্কোর ৪০ জন ঘনিষ্ঠ মিত্রদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেয় ও সম্পদ জব্দ করে, ওই তালিকায় লুকাশেঙ্কো ছিলেন না।
[৬]গত ৯ আগস্টের বিতর্কিত নির্বাচনের পর থেকেই লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। ২৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা লুকাশেঙ্কোর দাবী তিনি ৮০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা তার পদত্যাগ ও রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির দাবী জানাচ্ছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার আটককৃকত বিরোধী দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন লুকাশেঙ্কো। বিরোধী দলের নেত্রী শ্বেতলানা তিখানোভস্কায়া নিরাপত্তা শঙ্কায় লিথুয়ানিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। লুকাশেঙ্কো পশ্চিমা ও ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে বিক্ষোভকারীদের উৎসাহ দেয়ার জন্য দায়ী করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :