লিহান লিমা: [২] বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ এর জন্য গবেষণাধীন টিকার মধ্যে চীনের চারটি টিকা তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রবেশ করেছে। শুক্রবার চীন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টিকা বিতরণ কর্মসূচী কোভ্যাক্সে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হু চুনিয়ে বলেছেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকার সমবণ্টন নিশ্চিত করতেই কোভ্যাক্স উদ্যোগে যোগ দিয়েছেন চীন। রিপাবলিকওয়ার্ল্ড
[৩]চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিজ্ঞানীদের করোনার টিকা আবিষ্কারের গতি বাড়ানোর জন্য রাজনৈতিকভাবে তাগিদ দিয়ে আসছেন। চীনের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ অধিদপ্তর (সিডিসি) বলেছে, এ বছরের শেষ নাগাদই তারা কার্যকরী করোনার টিকা উৎপাদন করবে। সিডিসির প্রধান জৈব-নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ উ গুইঝেন, নভেম্বরের আগেই চীনের টিকা সাধারণ নাগরিকদের প্রয়োগের জন্য প্রস্তুত হবে।
[৪] চীনের কোভিড-১৯ টিকা উৎপাদনকারী টাস্ক ফোর্সের প্রধান ঝেন ঝংউই বলেন, ‘এ বছরের শেষ নাগাদ ৬০ কোটি টিকার ডোজ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে চীনের, আগামী বছর নাগাদ এটি ১০০ কোটিতে পৌঁছবে।’ তবে এই সময় তিনি আরো বলেন, ‘চীনের জনসংখ্যা প্রায় ১৪০ কোটি, যারা এখনো করোনার টিকা পান নি, তাই নাগরিকদের টিকার নিশ্চয়তার পর রপ্তানির জন্য খুব বেশি ডোজ থাকবে না।’
[৫]কোভ্যাক্স উদ্যোগের মাধ্যমে ২০২১ সালের শেষ নাগাদ অন্তত ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদনের কথা জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। তবে উদ্যোগে যুক্ত দেশগুলোর উৎপাদক কোম্পানিগুলোকে টিকার পূর্ণ অনুমোদনের পূর্বে এর কার্যকারীতা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রমাণ করতে হবে। চলতি অক্টোবর নাগাদ বিশ্বব্যাপী গবেষণাধীন ১০টি টিকা তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রবেশ করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :