আনিস তপন : [২] খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আইনের শাসনকে পদদলিত করা হলে অপরাধ করতে মানুষ প্রশ্রয় পায়। কিন্তু বর্তমান সরকার সকল অপরাধের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ধর্ষণের মত অপরাধের শাস্তি বিদ্যমান আইন সংশোধনের মাধ্যমে আরো কঠোর করা হচ্ছে।
[৩] তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করে ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল, দালাল আইনে যাদের বিচার হচ্ছিল। দালাল আইন প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। এমনকি ধর্ষণকারিদেরও বিচার করা হয়নি। এ বিচারহিনতার কারণে বাংলাদেশে একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি। ধর্ষক যারা এ ধরণের অপরাধ করেছিল তারা মন্ত্রিপর্যায়ে পর্যন্ত অধিষ্টিত হয়েছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে।
[৪] তিনি বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষকদের বিচার হয়েছে, অপরাধিদের বিচার হয়েছে, খুনিদের বিচার হয়েছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাত থেকে শুরু করে যারা ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত এবং যারা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোন কিছু বর্তমান সরকার লুকায়নি, সবকিছু জনসম্মুখে নিয়ে এসেছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
[৫] রোববার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবালের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :