শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪০ দুপুর
আপডেট : ১২ অক্টোবর, ২০২০, ১২:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বুর কুয়াকাটার রাখাইন মার্কেটের মাঠ

উত্তম কুমার : [২] হঠাৎ করে দেখলে মনে হবে,এ যেন বড় ধরনের দিঘী কিংবা জলাশয়। কিন্তু তার কোনটাই নয়। এটি হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার রাখাইন মহিলা মার্কেটের মাঠ। বৃষ্টির পানিতে টইটুম্বুর রয়েছে। পচাঁ পানি দূর্গন্ধসহ মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। এ মাঠে জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মানের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যাবসায়ি ও আগত পর্যটকরা।

[৩] কুয়াকাটা রাখাইন মার্কেটের একাধিক ব্যাবসায়ী জানান, বড় এ মাঠটির তিন দিকে বিপণি বিতান, একদিকে মার্কেটে প্রবেশ সড়ক। আর এর পাশেই রয়েছে রাখাইন বৌদ্ধ বিহার। শুকনো মৌসুমে প্রতিদিন পড়ন্ত বিকেলে কিংবা সন্ধ্যার পর এ মাঠে পর্যটকদের আড্ডা বসতো। এছাড়া বিভিন্ন সময় রাখাইনদের নিজস্ব সাংস্কৃতি মঞ্চায়ন হতো এ মাঠে। কিন্তু বর্তমানে সামান্য বর্ষা হলেই মাঠে হাটু পরিমান পানি জমে যায়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে বেড়ে যায় মশার উৎপাত। তবে স্থানীয় বাঙ্গালী ও রাখাইনদের সাথে ভূমি বিরোধের কারনে ড্রেনেজ ব্যাবস্থা কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

[৪] পর্যটক মনসুর আলী বলেন, প্রথম দেখে ধারনা করেছিলাম এটি দিঘী। কিন্তু স্থানীয়দের কাছ থেকে শুনে বুঝতে পারলাম দিঘী জলাশয় কোনটই নয়। এখানে রাখাইন মহিলা মার্কেটের মাঠ। বৃষ্টির পানি জমে টইটুম্বুর হয়ে আছে।

[৫] ব্যাবসায়ি রাখাইন উসো মং বলেন, বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ হচ্ছে। রাখাইন সম্প্রদায়ের জলকেলি উৎসবসহ বাঙালিদের অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় এ মাঠে। কিন্তু এ সমস্যা নিরসনে কারোই কোনো উদ্যোগ নেই। ব্যাবসায়ি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পর্যটকরা সন্ধ্যার পরে সময় কাটাতেন রাখাইন মার্কেটে। মার্কেট ঘুরে দেখা ও কেনাকাটা ছাড়াও মাঠে বসে আড্ডা জমাতেন। কিন্তু জলাবদ্ধতার কারণে এখন হোটেলে বসে সময় কাটাতে হয় পর্যটকদের। অপর এক ব্যাবসায়ি সুমন জানান, পানি পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছে। এছাড়া বাড়েছে মশার উৎপাত। এ মাঠে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থায়ী ড্রেনেজ ব্যবস্থার দাবী জানান তারা।

[৬] কুয়াকাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেব মোল্লা জানান, কুয়াকাটায় ড্রেনেজ ব্যবস্থার কাজ শুরু হয়েছে। পৌর সভায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা হলে তখন জলাবদ্ধতা আর থাকবে না। আশা করি শীঘ্রই এ সমস্য সমাধান হবে।সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়