কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] দায়িত্ব গ্রহণের একবছর পূর্তিতে রোববার ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, উভয় দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া-বিনিময় আরও গভীর করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
[৩] তিনি বলেন, গত এক বছরে বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের মতবিনিময় এবং আলোচনাগুলোতে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। মহামারিতে অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেগুলোতে প্রভাব পড়েছে। এই মহাদুর্যোগের সময়েও মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জাপান বাংলাদেশকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
[৪] বাংলা নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টে জাপান বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় প্রায় ৩৩ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেওয়ার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। স্বাস্থ্যসেবা খাতে চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে জরুরি সহায়তা দিয়েছে।
[৫] ২০২০ সালে প্রায় ৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই বছরের ঋণের প্যাকেজটিতে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি), হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বর্ধিতকরণ, যমুনা রেলওয়ে সেতু নির্মাণ, এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নয়নসহ সহায়তাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
[৬] মাতারবাড়ীতে চলমান গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের পাশাপাশি এই বৃহৎ আকারের অবকাঠামো প্রকল্পগুলো বাংলাদেশি শিল্পের বিকাশের জন্য ভবিষ্যতের প্রতীক হবে। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে কারণ এটি বঙ্গোপসাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সামগ্রিক স্থিতিশীলতার জন্য সরাসরিভাবে সহায়ক। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০০টিরও বেশি জাপানি সংস্থা কাজ করছে। জাপানের সরাসরি বিনিয়োগও গত ৮ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :