মোস্তফা কামাল : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সৌদি বাদশা ফয়সাল বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকের শুরুতে কুশল বিনিময়ের পরই বাদশা ফয়সাল শেখ মুজিবকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আমি শুনেছি, বাংলাদেশ আমাদের কাছে কিছু সাহায্যের প্রত্যাশী। তবে এসব সাহায্য দেওয়ার জন্য আমাদের কিছু পূর্বশর্ত আছে। বাদশা ফয়সালের কথা মোটেই পছন্দ হয়নি শেখ মুজিবের। তিনি কোনো ভনিতা ছাড়াই বললেন, আমার তো মনে হয় না, বাংলাদেশ মিসকিনের মতো আপনার কাছে কোনো সাহায্য চেয়েছে। বাংলাদেশের পরহেজগার মুসলমানরা পবিত্র কাবা শরীফে নামাজ আদায়ের অধিকার চাচ্ছে। এ ব্যাপারে আবার শর্ত কেন? বাংলাদেশ আসলে কী চায়। বাদশা ফয়সাল জানতে চাইলেন।
শেখ মুজিব বললেন, বিশ্বের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার পর বাংলাদেশ হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তর মুসলিম দেশ। তাই আমি জানতে চাই, কেন সৌদি আরব এখন পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। বাদশা ফয়সাল বললেন, সৌদি আরবের স্বীকৃতি পেতে হলে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন করে ‘ইসলামিক রিপাবলিক অব বাংলাদেশ’ রাখতে হবে। সৌদি বাদশার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিব লিবিয়ার প্রেসিডেন্ট গাদ্দাফীর কথা উল্লেখ করে বললেন, তিনিও আমাকে একই ধরনের প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু কেন? আপনাদের দেশের নামও তো ইসলামিক রিপাবলিক অব সৌদি অ্যারাবিয়া নয়। আপনাদের দেশের নাম মরহুম বাদশা ইবনে সউদ এর নামে কিংডম অব সৌদি অ্যারাবিয়া রাখা হয়েছে। কই আমরা কেউ তো এই নামের আপত্তি করিনি। (উপন্যাস: ১৯৭৫, মোস্তফা কামাল)। অন্যপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :