দেবদুলাল মুন্না:[২] এ তথ্য জানান নাট্যব্যাক্তিত্ব লাকী ইনাম। তিনি জানান, আকাশবাণী ভুলবশত এ খবর প্রচার করলে তিনি আত্মগোপন থেকে ফুলার রোডের বাসায় ফিরে এসেছিলেন। তখন তিনি চার মেয়েসহ ছিলেন শিক্ষকদের কোয়ার্টারে। এরপর যুদ্ধে অবদান রাখেন।নীলিমা ইব্রাহিমের জেষ্ঠ্য কন্যা মঞ্জুরা কবীর ‘সেই সময়ের স্মৃতিচারণা’য় এ কথাগুলোও রয়েছে। আজ নীলিমা ইব্রাহিমের শততম জন্মদিন।
[৩] লাকী ইনাম জানান, নীলিমা ইব্রাহিমের লেখা আমি বীরাঙ্গনা বলছি বইয়ের সাতটি গল্পের একটি নিয়ে লেখা নাটক ‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’র মঞ্চনাটক আমি করেছি। নাটকের গল্প একজন পরিপূর্ণ নারীর। যাঁর বিয়ে হয়েছে, সন্তান আছে। কিন্তু তাঁকে মাঝেমধ্যে ভয়ংকর সব স্মৃতি তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়। বিভিন্ন সময়ে লিখে রাখা দিনলিপি দর্শকদের পড়ে শোনান। সঙ্গে সঙ্গে ফিরে যান ভয়ংকর সব স্মৃতিতে। নাগরিক নাট্যাঙ্গন বাংলাদেশের প্রযোজনা এটি।
[৪] সাংবাদিক রঞ্জন মল্লিক জানান, ১৯৭২ সালে থেকে বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভাপতি ছিলেন ড. নীলিমা ইব্রাহিম। এসময় তিনি গড়ে তোলেন মহিলা সমিতি মিলনায়তন। এ সময় থেকে এই প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল চালিয়েছেন।৭৪ সালে বাংলা একাডেমির শীর্ষ দায়িত্ব নিলে কিছু জায়গা তার নেতৃত্বে দথলমুক্ত হয়েছিল। একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরষ্কারসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।
[৫] ড. নীলিমা ইব্রাহিম ১৯২১ সালের ১১ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মূলঘর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। উইকিপিডিয়া