জামাল হোসেন: [২] চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের খুশি খাতুন (১৮) নামের এক কুমারী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা ওই যুবতির গর্ভের সন্তান অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানোর এক ঘণ্টার মাথায় ভুমিষ্ঠ সন্তান মারা যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল মৃত্যু বাচ্চা উদ্ধার করেছেন।
[৩] অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য ডাক্তার সামসুল হক তার আত্মীয়কে রক্ষা করতে গর্ভপাত ঘটাতে খুশি খাতুন কৌশলে ওষুধ সেবন করিয়েছেন। এ ঘটনার সঙ্গে কে জড়িত অন্তঃসত্ত্বা কুমারী সঠিকভাবে বলতে না পারায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন পরিবার।
[৪] এলাকাবাসী জানায়, জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের মৃত সামসুদ্দিনের কন্যা খুশি খাতুনের পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় সে গত ১০-১২ বছর ধরে কুষ্টিয়া শহরের হাজী মিঠু মিয়ার বাড়ী গৃহকর্মি হিসাবে কাজ করে আসছিলো। খুশি খাতুন সম্প্রতি তার পিতার বাড়ী গোয়ালপাড়ায় চলে আসে। গত দু'দিন খুশি খাতুন পেটের যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকার এক পর্যায়ে প্রতিবেশীদের মধ্যে তার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এদিকে শুক্রবার গভীর রাতে খুশি খাত্নন একটি বাচ্চা প্রসাব করার এক ঘণ্টার মাথায় বাচ্চাটি মারা যায়।
[৫] তবে এ ঘটনার জন্য কে দায়ী খুশি খাতুন তার সঠিক জবাব দিতে পারিনি। কখনও তার মামাতো ভাই আলামিনের কথা বলছে, আবার কখনও কুষ্টিয়ার নাম না জানা এক যুবকের কথাও বলছে। এদিকে অভিযোগ উঠেছে গ্রাম্য ডাক্তার সামসুল কৌশলে খুশি খাতুনকে ওষুধ সেবন করিয়ে গর্ভপাত ঘটিয়েছে।
[৬] গোয়ালপাড়া গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার সামসুল বলেন, খুশি খাতুন সামান্য বুদ্ধি প্রতিবন্দ্বী। তাকে আমার আত্মীয় কুষ্টিয়া শহরের মিঠু মিয়ার বাড়ীতে গৃহকর্মির কাজ দেয়া হয়। সেখান থেকে গত কয়েকদিন আগে বাড়ি চলে আসে। তার পেটে প্রচন্ড যন্ত্রনা শুরু হলে ডাক্তারের নিকট নেয়ার পর সে অন্তঃসত্ত্বার ব্যাপারটি নিশ্চিত হওয়া যায়। পরে শুক্রবার গভীর রাতে বাচ্চা প্রসবের এক ঘন্টার মাথায় বাচ্চাটি মারা যায়। তবে আমার বিরুদ্ধে ওষুধ সেবনের যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়।
[৭] সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার জহিরুল ইসলাম,ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খুশি খাতুনকে আমরা জিজ্ঞাসা করলে সে আমাদের বলে কুষ্টিয়ায় থাকা কালে সেখানে প্রতিবেশী এক বাড়ী দুধ দিতে গেলে সেখানে এক যুবক তাকে জোর পুর্বক ধর্ষণ করে। খুশি একটু বুদ্ধি প্রতিবন্দ্বী, সে কারনে কোনো কিছু গুছিয়ে বলতে পারছে না।
[৮] জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, ভিকটিম খুশি খাতুনকে আমরা ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। সে কুষ্টিয়ায় ১২ বছর ধরে অবস্থান করছিল। তার গর্ভজাত মরা বাচ্চাটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি জীবননগরে ঘটলে আমরা মামল নেব। আর যদি কুষ্টিয়ায় সংঘটিত হয়, কুষ্টিয়া থানায় মামলা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :