প্রসূন আশীষ: এ এক অদ্ভুত যন্ত্রণা। একইসঙ্গে শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি মানষিক কষ্ট গ্রাস করে ফেলছে যেন। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, কাশি অার শরীরের কাঁপুনির সঙ্গে অবসাদ আর ভয়, পুরোপুরি দুর্বল করে দেয়।
মার্চের সেই শুরুর দিন থেকেই ধরে নিয়েছিলাম, ভয়ংকর এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলবে না।হয়তো অাক্রান্ত হতেই হবে।
সবাই যেখানে লকডাউনে ঘরবন্দী, সেখানে প্রথম দিন থেকে পেশাগত কাজে আমরা যারা প্রতিদিন মানুষের মাঝে, ঘরের বাইরে যাচ্ছি, তাদের রক্ষা নেই। তাই হল...!
দুঃশ্চিন্তা করতে করতে শেষ পর্যন্ত সাত মাস পরে আমাকে ঘিরে ধরলো অজানা শক্তিশালী এই ভয়ংকর জীবানু, কোভিড-১৯।
এত মাস্ক, স্যানিটাইজার, হেয়ারক্যাপ, হ্যাণ্ডগ্লাবস, গরম জল আর প্রতিদিনের এত সতর্কতা কিছুই সুরক্ষা দিল না...!
গত ৬ দিন ধরে ওষুধ অার নানা পথ্যের সঙ্গে ভাল হয়ে উঠবার কত চেষ্টা। চিকিৎসক আর স্বজন আপনজনের কত পরামর্শ। তবুও ঘর বন্দী হয়ে প্রতিটা মুহূর্ত কাটাচ্ছি এক অজানা আতংকে। এখনো কিছুটা শ্বাসকষ্ট, মারাত্মক দুর্বলতা ঘিরে অাছে।
নিয়মানুযায়ী আরও কমপক্ষে ৮/৯ দিন কাটাতে হবে এভাবে।
অন্ধকার থেকে অালোর জন্য মনটা কেমন করছে। দ্রুতই ফিরতে চাই ভালবাসার কাজে।
এজন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন প্রিয়জনের দোয়া/অাশীর্বাদ।
কেউ অসুস্থ হয়ে এভাবে অন্ধকারে পড়ে থাকতে না হয় সৃষ্টিকর্তার কাছে অামার প্রার্থনা, অাপনাদের কাছেও প্রত্যাশা, প্রার্থনায় রাখবেন অামায়, আলোয় ফিরতে চাই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :