সুজন কৈরী : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া এলাকায় বাবার দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে না পেরে সৎ মা সেলিনা খানমকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. জান্নাতুল ফেরদৌস নাইম (১৮) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগের লালবাগ জোন। গ্রেপ্তার তরুনের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া এলাকার সেলিনা খানমকে তার বাসায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী কামরাঙ্গীরচর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি লালবাগ বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গোয়েন্দা লালবাগ জোনাল টিমের এডিসি শামুসুল আরেফীন বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তের অবস্থান সনাক্ত করে শুক্রবার নড়াইলের নড়াগাতি এলাকা থেকে নাইমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকার তার মামার বাসা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, গত ডিসেম্বরে কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া এলাকার এস এম ওবায়দুল্লাহ এর স্ত্রী মারা যান। সম্প্রতি ওবায়দুল্লাহ ভিকটিম সেলিনাকে বিয়ে করেন। বাবার এই দ্বিতীয় বিয়ে মেনে নিতে পারেননি তার জার্মান প্রবাসী ছেলে বিপ্লব হোসেন। এই বিয়েকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিপ্লব তার সৎ মা সেলিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। বিপ্লবের বাড়ি নড়াইল হওয়ায় ওই এলাকার একজনের মাধ্যমে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সেলিনাকে হত্যার জন্য নাইমকে ঠিক করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার যুবকের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, সেলিনাকে হত্যার জন্য বিপ্লব ৫০ হাজার টাকা ও একটি ছুরি নড়াইলের অজ্ঞাত ব্যক্তির মাধ্যমে নাইমকে সরবরাহ করেন। পরিকল্পনা মতে ভিকটিমের বাসা নাইম ভাড়া নেয়। সুযোগ বুঝে ২ অক্টোবর ভিকটিমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর বিপ্লব ৩ অক্টোবর বিকাশের মাধ্যমে নাইমকে ৬০ হাজার টাকা দেন। আর হত্যাকান্ডের পরিকল্পনায় বিপ্লবের সাথে সমন্বয় করেন বাদীর সৌদি প্রবাসী ভাই মিজান।
গ্রেপ্তার নাইমকে শনিবার কামরাঙ্গীরচর থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে।