মাছুম বিল্লাহ: [২] কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের আগেই জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলি বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করেছিলেন যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ২০২০ সালে বিশ্ব সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটের মুখোমুখি হতে পারে।
[৩] তিনি বলেছিলেন, সিরিয়া ও ইয়েমেনসহ বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ, আফ্রিকায় পঙ্গপালের হানা, ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং লেবানন, কঙ্গো, সুদান ও ইথিওপিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক সংকট এ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
[৪] এরপরই কোভিড-১৯ মহামারিতে পরিণত হয়, যা দ্রুত সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ায় খাদ্য সংকট আরও তীব্র হয়। এটি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
[৫] ডেভিড বিসলি বলেন, ‘ডব্লিউএফপি এবং এর সহযোগীরা এ বছর ১৩৮ মিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে যা আমাদের ইতিহাসে বৃহত্তম অগ্রগতি’।
[৬] বিভিন্ন দেশের সরকার, সংস্থা এবং দাতাদের সহায়তা করার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি, বিশ্বের দুই হাজারেরও বেশি বিলিয়নিয়ারকে, যাদের সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি, এ ক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়াতে বিশেষ আবেদন জানিয়েছেন ডব্লিউএফপি প্রধান।
[৭] ডব্লিউএফপির ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বিসলি বলেন, ‘বিশ্বের ৬৯০ মিলিয়ন ক্ষুধার্ত মানুষের প্রত্যেকেরই আজ শান্তিপূর্ণভাবে এবং ক্ষুধামুক্ত জীবন যাপনের অধিকার রয়েছে।
[৮] মহামারি করোনার মধ্যেও ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই, শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ-সংঘাত কবলিত এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং যুদ্ধ ও সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার রোধ করতে চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করার জন্য ক্ষুধার বিরুদ্ধে অব্যাহত লড়াই প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ডব্লিউএফপিকে এবার শান্তিতে নোবেল দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে নোবেল কমিটি।- সূত্র: ইউএনবি। সম্পাদনা: বাশার নূরু
আপনার মতামত লিখুন :