রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের যোদ্ধা ড্রোনটি গত বছর যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই ভেঙে পড়েছিল। এ বছর কর্নাটকের চিত্রদূর্গ জেলায় প্রায় ১৬ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়েছে। লাদাখ সীমান্তে ইসরায়েল থেকে কেনা হেরন টিপি সশস্ত্র ড্রোন মোতায়েনের পর তারচেয়ে উন্নত ‘যোদ্ধা’ ড্রোন সেখানে মোতায়েন করা হবে। দি ওয়াল
[৩] ভারতের ডিআরডিও জানাচ্ছে, এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ এমনভাবে তৈরি যে ২৬ হাজার ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ওড়ার ক্ষমতা আছে। ১৮ ঘণ্টার বেশি উড়তে পারে ড্রোনটি।
[৪] ১৯৮০ সালে অধ্যাপক রুস্তম ডামানিয়ার নেতৃত্বে এই ড্রোনের প্রোটোটাইপ তৈরি করে লাইট কানার্ড রিসার্চ এয়ারক্রাফ্ট। পরে এর ইঞ্জিন ও অন্যান্য প্রযুক্তিতে পরিবর্তন আনে ডিআরডিও। এজন্যে এর পোশাকি নাম রাখা হয়েছে রুস্তম।
[৫] যোদ্ধা ড্রোনের দুই ইঞ্জিনের এবং যুদ্ধাস্ত্রও বয়ে নিয়ে যেতে পারে। হাজার কিলোগ্রামের বেশি ওজন বইতে পারে। রয়েছে ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল এবং নেভিগেশন সিস্টেম। উড়ান এবং অবতরণের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয়। প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুঘাঁটিতে নজর রাখতে পারে।
[৬] বিভিন্ন রকমের ক্যামেরা ফিট করা আছে রুস্তম ড্রোনে। এর রেডার সিস্টেমও উন্নত। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার, ইলেকট্রনিক্স ইনটেলিজেন্স সিস্টেম এবং সিচুয়েশনাল অ্যাওয়ারনেস সিস্টেম রয়েছে যা ভারতীয় সেনা, বিমানসেনা ও নৌবাহিনীর ভরসার অস্ত্র হতে পারে।