কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এর এশিয়া বিষয়ক ক্যাম্পেইনার সাদ হামাদি বিবৃতিতে বলেছেন, সংঘাতপূর্ণ রোহিঙ্গা শিবিরের ভেতরের পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপজ্জনক। কর্তৃপক্ষ যদি অবিলম্বে সহিংসতা নিরসন ও শরণার্থীদের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয় তবে আরো বড়ো বিপর্যয় ঘটবে।
[৩] জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে অবিলম্বে সহিংসতার বিষয়ে পক্ষপাতহীন তদন্ত শুরু করতে হবে।
[৪] এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া উচিত হবে না যার কারণে শরণার্থীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।
[৫] অব্যাহত সহিংসতাকে পুঁজি করে রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরিত করা হতে পারে এমন আশঙ্কা করে বিবৃতিতে বলা হয়, ভাষানচর মানুষের নিরাপদ বসবাসের উপযোগী কিনা, সেই বিষয়ে জাতিসংঘের মূল্যায়নের সুযোগ দেয়া হয়নি।
[৬] অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনকে শরণার্থীরা জানিয়েছেন যে, দ্বীপটির অনিরাপদ অবস্থা ও বিচ্ছিন্নবস্থার কারণে তারা সেখানে যেতে চান না।
[৭] সাদ হামাদি বলেন, ভাষানচরে পুনর্বাসন করা হলে তাদের বিদ্যমান নিরাপত্তাহীনতা বন্ধ হবে না এবং সংকটেরও কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান আসবে না।
[৮] কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই প্রতিপক্ষ সংগঠনের মধ্যে সহিংস সংঘাতের পর কমপক্ষে ২,০০০ শরণার্থী অন্যান্য শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। ওই ঘটনায় ৭ই অক্টোবর কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের প্রায় ১ ডজন আশ্রয়কেন্দ্র পুড়িয়ে ফেলা হয়।
[৯] অ্যামনেস্টিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে রোহিঙ্গা বলেছেন, মেথাফেটামিন ট্যাবলেট নামে একটি মাদকের বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাই মূলত সংঘাত শুরু হওয়ার অন্যতম কারণ। মিয়ানমারে উৎপাদিত ওই মাদক বাংলাদেশে পাচার হয়। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু