সিরাজুল ইসলাম: [২] নাগরনো-কারাবাখের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকে তাদের রাজধানী স্টেপেনকাতে গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সারারাত যুদ্ধ চলেছে। ২৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া যুদ্ধে তাদের ৩৭৬ সেনা ও ২২ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
[৪]এদিকে ছয় জাতির সামরিক জোটের প্রধান রাশিয়া সতর্ক করে বৃহস্পতিবার বলেছে, আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্ব হুমকিতে পড়লে তারা বসে থাকবে না। আর্মেনিয়া এ জোটের সদস্য। এর আগে বুধবার রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেন, তারা আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করবে না। কারণ, নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখন্ডে। এটা চুক্তির শর্তে পড়ে না।
[৫] বিশ্লেষকরা বলছে, যুদ্ধটা আসলে জাতিগত আর্মেনিয় ও আজেরিয়দের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। কারণ আজারবাইজানের গোলা আর্মেনিয়ায় এবং আর্মেনিয়ার গোলা আজারবাইজানে আঘাত হানছে। আর্মেনিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হিসেবে পাশে দাঁড়াতে পারে ছয় জাতির সামরিক জোট।
[৬] বৃহস্পতিবার জেনেভায় রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার আলোচনায় বসার কথা ছিলো; কিন্তুযাননি আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহরাব ম্যাটসাকারিন।
[৭] সোমবার মস্কোতে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জ্যাকারোভা।
[৮] মুসলিম প্রধান দেশ আজারবাইজানকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে প্রতিবেশী তুরস্ক। দেশটি রাশিয়ারও ঘনিষ্ঠ মিত্র। আবার ইরানও আজারবাইজানকে সমর্থন দিয়ে বলেছে, আর্মেনিয়াকে আজারবাইজানের ভূখন্ড থেকে চলে যেতে হবে। ইরানও রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ মিত্র।
[৯] নাগরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখন্ড হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। আর্মেনিয়ার সহায়তা নিয়ে অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে জাতিগত আর্মেনিয়রা। তারা নিজেদের স্বাধীন দাবি করলেও কোন দেশের স্বীকৃতি পায়নি।
[১০] ওই অঞ্চলে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয় ১০ লাখের বেশি আজেরিয়। সূত্র, রয়টার্স, বিবিসি, এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :