দেবদুলাল মুন্না: [২] এ তথ্য জানান জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি বলেন, একাধিক গবেষণা শুরু হলেও তার চূড়ান্ত ফলাফল এখনো প্রকাশ পায়নি। তবে এ রকম একাধিক গবেষণার প্রাথমিক ফলাফলের হিসাবটা এ সংখ্যাকেই সনাক্ত করেছে।
[৩] তিনি বলেন, মহামারি শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষকে নতুন বাস্তবতা, নতুন মানসিক সংকটের মধ্যে ফেলেছে। এই বাস্তবতায় অফিসের কাজ করতে হচ্ছে ভয় নিয়ে। সংক্রমণের ভয় ও চাকরি হারানোর ভয়। শিশুরা স্কুল করছে বাড়িতে। পরিবার সদস্য, প্রিয়জন, বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে শারীরিকভাবে মেলামেশা করা থেকে মানুষ দূরে থাকছে সংক্রমণের ভয়ে। এই ভয় দূর করে নতুন ব্যবস্থায় সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পেরে অনেকে মানসিক ভারসাম্য হারাচ্ছেন।
[৪] বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস শনিবার। সারা বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ১০ অক্টোবর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এই দিবস পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্টে জানা গেছে, ১০৩ দেশে করা সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, মহামারী কালে ৯৩ শতাংশ দেশে বিপর্যস্ত মানসিক স্বাস্থ্য সেবা। কমেছে এই সেবার ফান্ডিংও।
[৫] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এর আগে বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির প্রভাব ইতিমধ্যে মারাত্মক উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :