ইসমাঈল ইমু : [২] প্রশাসনের কিছুটা নির্লিপ্ততায় আবারো কক্সবাজারের রোহিঙ্গ ক্যাম্প অশান্ত হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। সাধারন বাসিন্দাদেও সঙ্গে কক্সবাজারের স্থানীয়রাও এতে আতঙ্কিত।
[৩] এদিকে গত মঙ্গলবার উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। এ ঘটনার পরপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত আর্মড ব্যাটালিয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
[৫] সম্প্রতি র্যাব পৃথক অভিযান চালিয়ে ৯ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করে। আটককৃতরা হলো রশিদ আহমদ (৩২), ছলিমুল্লাহ (৫৫), শফিক আলম (২০), আব্দুল হামিদ (২০), সাবের (৩২), ছালাম (৫০), ইসমাইল (২৫) হারুনুর রশিদ (২৮) ও ফয়েজ (২২)। এ সময় ৪টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, বিশ রাউন্ড কার্তুজ, ধারালো কিরিচ, লোহার রড ও গুলি উদ্ধার করা হয়। গত ৫দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টানা হামলা-পাল্টা হামলা ঘটনায় ৭ জন খুন হয়েছে।
[৬] সূত্র মতে, উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ি জমিতে ৩৪টি ক্যাম্পে রয়েছে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। আশ্রয় নেওয়ার পর এক বছর রোহিঙ্গারা নীরব থাকলেও যত দিন যাচ্ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ বাড়ছে। স্থানীয় মাদক ও ইয়াবা কারবারি এবং চোরাচালান কারবারিদের সঙ্গেও তাদের অবাধ যাতায়াত। আর ক্যাম্পগুলোকে মাদক, ইয়াবা, অস্ত্রের মজুত বানিয়ে ফেলেছে।
[৭] কক্সবাজারের ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন কোনও না কোনও ক্যাম্প থেকে অপরাধমূলক কর্মকান্ডের খবর পাওয়া যায়। তবে ক্যাম্পে অপরাধপ্রবণতা বাড়লেও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরগুলোতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ।