নিজস্ব প্রতিবেক : [২] সামাজিক সংগঠন ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি ( এনএফএস) এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, নারী নির্যাতন-নিপীড়ন ও ধর্ষণ হচ্ছে জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আইনের কঠোর প্রয়োগ ও শাস্তির বিকল্প নেই। ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন আইনে সর্বোচ্চ যে সাজা রয়েছে তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না বলেই এ ধরণের অপরাধ বাড়ছে। পাশাপাশি ধর্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দেয়া হচ্ছে। ধর্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দেয়া যাবে না। এদেরকে অপরাধী ও যৌনসন্ত্রাসী হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে। রাজনৈতিক ট্যাগ দিলে তারা বিভিন্ন প্রভাবে ছাড়া পেয়ে যাবে। যৌনসন্ত্রাসীরা মা-মাটি ও মানবতার শত্রু।
[৩] তারা আরও বলেন, যৌনসন্ত্রাসীরা সমাজবিরোধী। এদের সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। যৌনসন্ত্রারীদের দল, ধর্ম ও ভৌগলিক সীমারেখা নেই। ওদের পরিচয় ওরা ধর্ষক- যৌনসন্ত্রাসী। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণরোধে সামাজিক আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। সমাজের সর্বস্তরের নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে হবে। তরুণ ও যুব সম্প্রদায়ের মাঝে নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা বাড়াতে, দেশজ সাংস্কৃতির চর্চাও বাড়াতে হবে। আকাশ সাংস্কৃতি রুখে দিতে হবে।
[৪] তারা বলেন, যৌনসন্ত্রাস ও নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমাদের লড়তে হবে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার বিচার বিশেষ ট্রাইবুন্যাল গঠন করতে হবে। তিন মাসের মধ্যে বিচার সম্পন্ন করে দ্রুততার সাথে রায় কার্যকর করলে ধর্ষণ নামক সামাজিক ব্যাধি থেকে জাতি মুক্তি পাবে বলে আমরা মনে করি।
[৫] শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে 'নারী নির্যাতন-নিপীড়ন' বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ চেয়ে'যৌনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন' থেকে এ দাবি করে সংগঠনটির নেতারা।
[৬] ন্যাশনাল ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটির (এনএফএস) সভাপতি রাহাত হুসাইনের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক লীগের সভাপতি এম এ জলিল, সংগঠনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, সাংবাদিক নেতা মানিক লাল ঘোষ, সমীরণ রায়, সংগঠনের মহাসচিব ইমরান হোসাইন, সহ-সভাপতি আসিকুল ইসলাম, এস এম আতিক হাসান, শেখ মোহাম্মদ নাসির, যুগ্ম-মহাসচিব পাবেল হাসান চৌধুরী, সালেকুজ্জাম রাজীব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক ভিস্তি, ইমদাদুল হক শুভ, প্রচার সম্পাদক আহসান হাবীব সবুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাসুম চৌধুরী, মহাসচিব জাহিদ হাসান প্রমুখ
আপনার মতামত লিখুন :