শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৩:৫৯ রাত
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৩:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শান্তি আলোচনায় বসতে আজারবাইজান-আর্মেনিয়াকে পুতিনের আমন্ত্রণ

ডেস্ক রিপোর্ট: বিতর্কিত ভূখণ্ড নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে নতুন করে যুদ্ধে জড়ানোর দুই সপ্তাহ পর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া। দেশ দুটির পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে শুক্রবার মস্কোয় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পুতিন এই শাস্তি আলোচনার ডাক দিয়েছেন বলে এএফপি’র খবরে বলা হয়েছে। মানবিক কারণে এই যুদ্ধ থামানো উচিত বলে মনে করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট মানবিক কারণে নাগার্নো-কারাবাখে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছেন, যাতে মৃতদেহগুলো এবং বন্দীদের বিনিময় করা যায়। আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ৯ অক্টোবর মস্কোয় আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।” রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শাস্তি আলোচনার মধ্যস্থতা করবেন বলে পুতিন জানিয়েছেন। আলোচনার এই উদ্যোগ নিতে বৃহস্পতিবার রাতে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুতিনের দফায় দফায় ফোনালাপ হয়েছে বলে ক্রেমলিনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

তবে মস্কোর এই আহ্বানে বিবাদমান দেশ দুটির শীর্ষ পর্যায়ে কূটনীতিকেরা সাড়া দিয়েছেন কি-না এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।নাগার্নো-কারাবাখ আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত হলেও আর্মেনীয় নৃগোষ্ঠীর লোকজন অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। আর আর্মেনিয়া তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছে। ১৯৯০ দশকে যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অঞ্চলটি আজারবাইজান থেকে বিচ্ছিন্ন হলেও এই অঞ্চলটিকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি কোনো দেশ।

অঞ্চলটি নিয়ে ৯০ এর দশকে থেকে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া বেশ কয়েকবার যুদ্ধে জড়ালে সেখানে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। তুমুল যুদ্ধের পর ১৯৯৪ সাল যুদ্ধ বিরতিতে ছিল দেশ দুটি।বিরোধপূর্ণ নাগার্নো-কারাবাখ নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ফের যুদ্ধে জড়ায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। এবার যুদ্ধে নামা নিয়ে উভয় পক্ষই একে-অপরকে দোষারূপ করছে।

আজারবাইজান-আর্মেনিয়ার যুদ্ধের ফলে এখন পর্যন্ত ২৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪৭ জনের বেশি সাধারণ নাগরিক।এই যুদ্ধে আজারবাইজানকে সমর্থন দিচ্ছে প্রতিবেশী তুরস্ক। অন্যদিকে যুদ্ধ বন্ধ করতে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়াকে আহ্বান জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো।

সুত্র : দেশ রূপান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়