রাশিদ রিয়াজ : ইরান ও ইরাকসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা এবং শোকের ভাব-গাম্ভীর্য নিয়ে পালিত হয়েছে ইমাম হুসাইন (আ)'র শাহাদাতের চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন। করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর ইরাক সরকার কারাবালাগামী বিদেশি শোক পালনকারীদের সংখ্যা সীমিত করে দেয়।
ইরাকের পবিত্র কারবালায় বৃহস্পতিবার ইমাম হুসাইন (আ)'র শাহাদাতের ১৩৮১তম চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন পালন করা হয়। ২০১৯ সালে বিশ্বের ৫৫ দেশের কয়েক মিলিয়ন অনুরাগী এ উপলক্ষে সমবেত হয়েছিলেন পবিত্র এই শহরে। জিয়ারতে আরবাইন নামক বিশেষ দোয়া পাঠ ছিল দিনের অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বৃহস্পতিবার ইমাম খোমেনী (রহ.) হোসেইনিয়াতে জিয়ারাতে আরবাইন দোয়া পাঠের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
গত বছর কেবল ইরান থেকেই ৩৫ লাখ ইরানি জিয়ারতকারী আরবাঈনে যোগ দেয়ার জন্য ইরাকের কারবালায় গিয়েছিলেন। ইরান হয়ে বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশের লাখ লাখ জিয়ারতকারী প্রতি বছর কারবালায় যান। কিন্তু এ বছর কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে গিয়ে জিয়ারতকারীর সংখ্যা ব্যাপক মাত্রায় কমিয়ে আনা হয়েছে।
প্রতি বছর ঐতিহাসিক ২০ সফর পালন করা হয় হযরত ইমাম হুসাইনের (আ.) শাহাদাতের চেহলাম। ইরানের রাজধানী তেহরানসহ বিভিন্ন শহরে সর্বস্তরের জনগণের উপস্থিতিতে পালন করা হয় ইমাম হুসাইন (আ)'র শাহাদাতের ১৩৮১ তম চেহলাম-বার্ষিকী বা আরবাঈন। সর্বত্র বিরাজ করছে গভীর শোকের বিশেষ ভাবগম্ভীর পরিবেশ। মসজিদসহ সারা দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে আলোচনা ও শোক-সভা। এ ছাড়াও সর্বসাধারণের মাঝে বিলানো হচ্ছে নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রী।
আপনার মতামত লিখুন :