সমীরণ রায় : [২] নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সিলেটের এমসি কলেজে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে সারাদেশ বিক্ষোভে উত্তাল। দেশের ছাত্র, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলো ধর্ষকের সর্বোচ্ছ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইন সংশোধনের দাবি করেছে। এদাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাও।
[৩] দলটির শীর্ষ নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়ই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরোধীতা করে আসছে। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে আসছে। বরং বিএনপি সরকারের আমলে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা ছিলো নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। সেই সময়েও আওয়ামী লীগ নির্যাতিত ও ধর্ষিত নারীদের পক্ষে দাড়িয়েছে। আজকে যারা মানুষের দুঃসময় ও দুর্বিপাকে দাড়ায় না, তাদের এসব কথা বলার অধিকারও নেই।
[৪] আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, যারা নারী ধর্ষণ করে, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করি। প্রয়োজনে এদের ক্রসফায়ারেও দেয়া যেতে পারে। তবে যারা আন্দলন করে পানি ঘোলা করার চেষ্টা করছে, তাদের এগুলো না করলেও চলে। কারণ তারা মানুষের দুর্বিপাকে তো দাড়ায় না। তাই তাদের এসব নিয়ে কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।
[৫] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আমি একজন আইন প্রনেতা হয়ে ক্রসফায়ার চাইতে পারি না। তবে ধর্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি চাই। যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ এ ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়।
[৬] আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়ই নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার। যারা এমন নির্দয় ঘটনা ঘটাবে তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :