মো. আখতারুজ্জামান : [২] ট্রেজারি চালানের অর্থ জমা দেওয়ার প্রচলিত পদ্ধতি সহজীকরণ, গ্রাহক ভোগান্তি কমানো, ভুয়া চালান জমা ও রাজস্ব ফাঁকির প্রবণতা রোধসহ সঠিক সময়ে চালানের অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নিশ্চিত করার জন্য স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি উন্নয়ন করা হয়েছে।
[৩] অর্থ বিভাগের বাস্তবায়নাধীন স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম-টু-এনাবল সার্ভিস ডেলিভারি প্রোগ্রামের অধীন ইমপ্রুভমেন্ট অব পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস ডেলিভারি থ্রু ইমপ্লিমেন্টেশন অব বিএসিএস অ্যান্ড আই বিএএস প্লাস স্কিমের আওতায় উদ্ভাবিত স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির উদ্বোধন করা হয়েছে।
[৪] বৃহস্পতিবার ভার্চ্যুালি অনুষ্ঠানটির যৌথভাবে উদ্বোধন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম এবং অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মো. জহুরুল ইসলাম, এনবিআরের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
[৫] অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়টি শাখা এবং সরকারি মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২২৪টি শাখায় ট্রেজারি চালানের অর্থ গ্রহণ করা হচ্ছে। স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি সারাদেশে তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর সোনালী ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের সব শাখায়, দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা মহানগরীর অন্যান্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখায় এবং তৃতীয় পর্যায়ে সারাদেশে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সব শাখায় বাস্তবায়ন করা হবে।
[৬] অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন করা হলে সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যুগান্তকারী অগ্রগতি সাধিত হবে। একই সঙ্গে রাজস্ব জমা দেওয়া ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :