লিহান লিমা: [২] করোনা আক্রান্ত হয়ে চারদিন পর হাসপাতাল থেকে ফিরে স্থানীয় সময় বুধবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন থেকে দেয়া ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয় ঈশ্বরের কৃপায় আমি করোনা আক্রান্ত হয়েছি। এটা ছদ্মবেশে ঈশ্বরের আশীর্বাদ। কারণ সংক্রমিত হয়েই আমি বুঝতে পেরেছি কীভাবে এই রোগ দূর করা যায়। রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের অ্যান্টিবডি থেরাপিতে আমি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়েছি। তাই মার্কিনিদের এই ঔষধ আমি বিনামূল্যে দেবো। আমি জানি এই ওষুধ কতটা কার্যকরী।’ ডেইলি মেইল
[৪]গত শুক্রবার ট্রাম্প করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ওইদিন রাতে তাকে ওয়াশিংটনের ওয়াল্টার রিড মিলিটারি হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির আগে ট্রাম্পকে রেজেনেরন ফার্মাসিউটিক্যালের পরীক্ষামূলক অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়। এটি করোনাভাইরাসের মাত্রা কমাতে পারে। তবে এই ঔষধের এখনো জরুরি অনুমোদনও মেলেনি। শুধুমাত্র প্রেসিডেন্টের চিকিৎসকদের বিশেষ অনুরোধে তাকে এই থেরাপি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ট্রাম্পকে রেমডেসিভির ও ডেক্সামেথাসোনও দেওয়া হয়েছে। সিএনএন বলছে, ট্রাম্পই পৃথিবীতে একমাত্র ব্যক্তি যাকে একসাথে তিনটি থেরাপি দেয়া হয়েছে।
[৫]বুধবারের এই ভিডিওতে ট্রাম্প আরো বলেন ‘আমি ফিট ছিলাম। হাসপাতালে যেতে চাইনি। কিন্তু চিকিৎসকরা বললেন, আপনি প্রেসিডেন্ট। আপনার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া উচিত।’ এই সময় যুক্তরাষ্ট্রে করেনা আক্রান্তের জন্য চীনকে আবারো দুষে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনার দোষে আপনি করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন না। বরং চীনের দোষ এটা। এর জন্য তাদের বড় মূল্য দিতে হবে।’
[৬]ভিডিওতে নির্বাচনের পূর্বেই করোনার টিকা বাজারে আনার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প।
[৭]এদিকে বুধবারই ওভাল অফিসে কাজে যোগ দিয়েছেন ট্রাম্প। ওয়েস্ট উইংয়ে মেরিন গার্ড দেখা গিয়েছে। ট্রাম্পকে হ্যারিকেন ডেল্টা অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে কর্মকর্তারা অবহিত করেছেন। তার সাথে চিফ অবস্টাফ মার্ক মিডোকে পিপিই পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। ওয়েস্ট উইংয়ে একজন নার্স ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছে।
[৮]স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সিডিসির গাইডলাইন অনুযায়ী ট্রাম্পের এখন আরো ১০ দিন আইসোলেশনে থাকা উচিত। তবে ট্রাম্পের দাবী তিনি পুরোপুরি সুস্থ তাই মাস্কও আর ব্যবহার করছেন না। শীঘ্রই নির্বাচনি প্রচারণায় ফিরতে চাইছেন।
[৯]হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, গত চারদিন ধরে জ্বর নেই ট্রাম্পের। হাসপাতাল ছাড়ার পূর্বে রেমডেসিভির ওষুধ চতুর্থ ডোজ নিয়েছেন তিনি। এখন তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক। হার্টবিট প্রতি মিনিটে ৬৮, শ্বাসের গতি মিনিটে ১৭। কিডনি ও ফুসফুসের অবস্থাও ভাল।