ডেস্ক রিপোর্ট: অপহরণের পর মুক্তিপণ নিতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়ে আসামি। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রিফাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব। এ মামলায় মূল আসামিকে যাবজ্জীবন ও বাকি দুই আসামিকে খালাসের রায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিফাতের পরিবার।
অভিযোগ উঠেছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধেও।
ন্যায় বিচার পাননি দাবি করে আদালতের প্রতি যত আক্ষেপ সন্তানহারা এক মায়ের। ২০১৫ সালের ৯ জুন খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হন শিশু রিফাত। ওইদিনই ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে অপহরণকারীরা। মুক্তিপণের টাকা নিতে গিয়ে র্যাবের হাতে ধরা পড়ে এক আসামি। গ্রেফতার করা হয় আরো দুইজনকে।
তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতেই শিশু রিফাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
পাঁচ বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে একজনকে যাবজ্জীবন দিয়ে বাকিদের খালাস দিয়ে বুধবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। এ রায় শুনে হতবাক রিফাতের পরিবার।
ভুক্তভোগী মা জানান, আদালতে বিচার পাইনি। তাহলে আমরা কোথায় যাবো?
বিচারচলাকালে মামলাটির গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রমাণ হারিয়ে যায়। নিহত রিফাতের বাবা-মায়ের অভিযোগের তীর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর দিকে।
এ মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তি দেখানো মতে, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এবং এরা (আসামি) মুক্তিপণের টাকা আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। এর চেয়ে বড় প্রমাণ আর কি হতে পারে?
এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
আপনার মতামত লিখুন :