ডেস্ক রিপোর্ট: পুরান ঢাকার আরমানীটোলা এলাকার পয়োনিস্কাশন নালায় (স্যুয়ারেজ লাইন) জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে নয়জন আহত হয়েছেন। বুধবার বিকেলের এ ঘটনায় প্রায় ১০ বর্গফুট রাস্তা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়।
বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। আহতদের উদ্ধার করে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহতরা হলেন- জামাল হোসেন, শাহজাহান হোসেন, নায়েব আলী, গোলাম সরোয়ার, শাহ আলম, ফেরদাউস আলম, নয়ন মিয়া, সিরাজ মিয়া ও আবদুর রউফ মিয়া। তারা সবাই মিটফোর্ড এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। চিকিৎসা শেষে তাদের ছয়জন হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকি তিনজনও রাতের মধ্যেই বাসায় ফিরতে পারবেন বলে জানা গেছে।
বংশাল থানার ওসি শাহীন ফকির বলেন, স্যুয়ারেজ লাইনে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ম্ফোরণ ঘটে। তবে কোনো অগ্নিকাণ্ড হয়নি। পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। তারা সবাই পথচারী। ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ম্ফোরণে পয়োনালার ঢাকনা ও রাস্তার ভাঙা অংশের টুকরোর আঘাতে তারা আহত হন। তাদের কারও কারও পায়ে রক্তাক্ত জখম ছিল। একজনের পা ভেঙে গেছে। বাকিদের আঘাত তেমন গুরুতর নয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নাশকতা বা সন্দেহজনক কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী আহাম্মদ জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আরমানিটোলা মাঠ সংলগ্ন ফটকের পশ্চিম পাশে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণে স্যুয়ারেজের স্ল্যাব ৫/৭ ফুট ওপরে উঠে যায়। এতে আতঙ্কিত হয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটোছুটি শুরু করেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন বলেন, স্যুয়ারেজ ফিডের (চারটি ড্রেনের সংযোগস্থল) ওপরের স্ল্যাবে গ্যাস নির্গমনের পথ না থাকায় বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনার পরপরই আমি সেখানে গিয়ে ওয়াসার দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের ফোন করলেও তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত আসেননি। পুরান ঢাকায় এমন অসংখ্য ঝুঁকিপূর্ণ স্যুয়ারেজ ফিড রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী মো. মামুন সাংবাদিকদের বলেন, স্যুয়ারেজ লাইনের পাশ দিয়ে যাওয়া গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে বের হওয়া গ্যাস জমেছিল। সেই গ্যাসের চাপেই বিস্ফোরণ ঘটে। পরে তিতাসের কর্মীরা লিকেজ মেরামত করে দিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার কামরুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তাদের দু'টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। তারা গিয়ে আহত তিনজনকে পান। তবে এ ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে তারা জানতে পারেন। জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটে বলে তিনি জানান।সমকাল
আপনার মতামত লিখুন :