রাশিদুল ইসলাম : [২] জামিনের আবেদন বুধবার সকালেই মঞ্জুর হয়েছিল। সন্ধ্যায় মুম্বাইয়ের বাইকুল্লা জেল থেকে মুক্তি পেলেন ভারতের অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। গত ২৮ দিন ধরে নারীদের জন্য এই স্পেশ্যাল জেলই ছিল রিয়ার ঠিকানা। এদিন জেল থেকে বের হওয়া মাত্রই রিয়াকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা। গাড়িতে উঠে চলে যান, কোনও মন্তব্য করেননি রিয়া। খবরের কাগজ দিয়ে মোড়া ছিল গাড়ির জানলার কাঁচ। তারপর চলে যান তিনি।
[৩] রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ড বলেছেন, প্রায় একমাস পর নিজের বিছানায় ঘুমোতে পারবেন রিয়া। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো রিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছিল তা খারিজ করেছে মুম্বাই হাইকোর্ট। এনসিবি জানিয়েছিল, রিয়া মাদক পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত। এই অভিযোগ খারিজ করে আদালত জানিয়েছে, রিয়া মাদকচক্রের সঙ্গে সক্রিয় ভাবে যুক্ত নন। আদালত এও জানিয়েছে যে তদন্তে দেখা গিয়েছে সুশান্ত ড্রাগ নিতেন এবং অনেকে তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতেন।
[৩] সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, বুধবার ১ লাখ টাকার বন্ডে আদালতে জামিন পেয়েছেন রিয়া। তবে জামিন পেলেও আগামী ১০ দিন তাকে থানায় হাজিরা দিতে হবে। এছাড়াও রিয়াকে থানায় পাসপোর্টও জমা রাখতে হবে। পাশাপাশি গ্রেটার মুম্বইয়ের বাইরে যেতে হলে অনুমতি নিতে হবে তাকে। এছাড়া দেশের বাইরে যেতে গেলেও রিয়াকে অনুমতি নিতে হবে আদালতের। এর পাশাপাশি সুশান্তের হাউস ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং রাঁধুনি দীপেশ সাওয়ান্তের জামিনও মঞ্জুর করেছে আদালত। দু’জনের ক্ষেত্রেই ৫০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করা হয়। তবে রিয়া ভাই শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়নি।
[৪] গত ৮ সেপ্টেম্বর রিয়া চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। সেদিন সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাকে আদালতে পেশ করা হয়। রিয়াকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি এনসিবি। ফলে আদালত প্রথম দফায় ১৪ দিনের জন্য রিয়াকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেয়। এর আগে একবার জামিনের আবেদন করেছিলেন রিয়া। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হওয়ার পর রিয়াকে বাইকুল্লা জেলে পাঠানো হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :