নূর মোহাম্মদ : [২] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত হাসান বিষয়টি নজরে আনলে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। হাইকোর্ট উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ৩২ বছরে একটি মামলা শেষ হবে না, এর দায়দায়িত্ব কি কারও থাকে না? ৫০৯ ধারায় প্রবিশন আছে সাক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার।
[৩] সীমা হত্যা মামলাটি বর্তমানে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক চমন বেগম চৌধুরীর আদালতে বিচারাধীন। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. মো. আনোয়ার হোসেনের সাক্ষ্য না দেয়ার কারণে মামলাটি ৩২ বছর ধরে ঝুলে আছে।
[৪] পুরান ঢাকার জগন্নাথ সাহা রোডে ১৯৮৮ সালের ২৬ এপ্রিল খুন হন সীমা মোহাম্মদী (২০)। বাড়িতে ঢুকে ছুরিকাঘাত করে সীমাকে হত্যা করার অভিযোগে মোহাম্মদ আহমদ ওরফে আমিন নামে এক যুবককে আসামি করে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন সীমার মা ইজহার মোহাম্মদী। দুই মাস পর ২৫ জুন পলাতক আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে সীমাকে বিয়ে করতে না পেরে সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
[৫] ২০০১ সালের ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের পরও সাক্ষ্য দিতে তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের অনীহার কারণে মামলার বিচারকাজ বারবার পিছিয়ে যায়। অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের তৎকালীন প্রভাষক আনোয়ার হোসেন সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হননি।
[৬] ওই চিকিৎসককে এ পর্যন্ত অর্ধশত অজামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা পাঠানো হয় বলে জানা যায়।