শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:০২ সকাল
আপডেট : ০৭ অক্টোবর, ২০২০, ০৬:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জামায়াত সদস্য সাজাতে চেয়ারম্যানের নাটক, গভীর রাতে বাড়ি-ঘর ভাংচুর

ডেস্ক রিপোর্ট : জমি নিয়ে চলছে বিরোধ। আদালতে মামলাও চলমান। আর মামলার বাদীকে জামায়াত সদস্য বানাতে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে গভীর রাতে বাড়িতে অভিযানের নামে হামলা চালানো হয়েছে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে।

ঘটনাটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে। তবে পুলিশ বলছে, দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে পুলিশের কোনো টিম অভিযানে যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ শব্দ হয়। ৬-৭ জনের একটি দল খলিলুর রহমান ও মহিদুলের বাড়িতে আসে। এরপর চিৎকার শুনতে পাই। কিছুক্ষণ থাকার পর তারা চলে যায়।

দুলাল মুন্দিয়া গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, আমার একটি জমি নিয়ে ঝিনাইদহ আদালতে মামলা চলছে। মামলায় ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুকে বিবাদী করা হয়েছে। আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। তিনি আমার জমি দখল করে সেখানে একটি বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে বিরোধ চলছে। চেয়ারম্যানের ভয়ে আমরা রাতে বাড়িতে ঘুমাতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ আমার দুই ভাইয়ের বাড়িতে ৬-৭ জনের একটি দল হামলা চালায়। এ সময় আমরা বাড়িতে ছিলাম না। ঘরের মধ্যে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় তিনি এখন আমাদের জামায়াত সদস্য বানানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়াও ওই জমিতে গেলে আমার পা কেটে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে।

খলিলুর রহমানের স্ত্রী রহিমা বেগম জানান, ছোট দুইটা সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাড়ির জানালা ও দরজায় লাঠির শব্দ। এরপর দরজা খোলার পর ৬-৭ জন আমাকে ঘর থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। এর মধ্যে দুইজন গ্রামপুলিশ ও আলী হোসেন অপু চেয়ারম্যানের ছেলে ছিল। ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র এলোমেলো ও ভাংচুর করে। কিছু না পেয়ে বাইরে বের হয়ে আসে। এরপর অন্য একজনের হাত থেকে একটি বই নিয়ে বলে এই বই তোমাদের ঘরে পাওয়া গেছে। এ সময় বাড়ির একপাশে চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু দাঁড়িয়ে ছিলেন।

মহিদুল ইসলামের স্ত্রী চামেলী বেগম জানান, আমার ঘরে ২-৩ জন প্রবেশ করে। এরপর আমার সাবালিকা মেয়ে কাঁথা গায়ে দিয়ে শুয়ে থাকে এবং তারা কাঁথা ধরে টান দেন। এরপর আমি তাদের ঘর থেকে বের করে দিই।

এ ব্যাপারে ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু বলেন, দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে জামায়াত সদস্যদের গোপন মিটিং চলছিল। এমন খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় সোমবার রাতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। একটি জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়।

তবে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে সোমবার রাতে কোনো পুলিশ সদস্য অভিযানে যায়নি উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। পুলিশের কোনো সদস্য সোমবার রাতে দুলাল মুন্দিয়া গ্রামে অভিযানে যায়নি। আর চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু ও খলিলুর রহমানের জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে।
সূত্র- যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়