সিরাজুল ইসলাম: [২] বেলজিয়ামের গেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা দক্ষিণ আফ্রিকার একটি লামার রক্তে অ্যান্টিবডি পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ১৫ বিজ্ঞানী দলের প্রধান মলিকিউলার ভাইরোলজিস্ট হিসেবে পরিচিত সাভিয়ে সেলেন্স।
[৩] সেলেন্স বলেন, লামার রক্তের অ্যান্টিবডি অত্যন্ত ছোট এবং কাঠামো খুব সহজ। এটা অত্যন্ত শক্তিশালী। এটা বেশ কার্যকরভাবে ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারে।
[৪] তিনি সাফল্যের সঙ্গে লামা ও মানুষের অ্যান্টিবডির মধ্যে স্থিতিশীল যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। ফলে মানুষের শরীরের কোষ লামার অ্যান্টিবডি ঠেলে সরিয়ে দিচ্ছে না। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, লামার অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসের শীর্ষ অংশের সঙ্গে সংযুক্ত হয়। তখন ভাইরাস আর মানুষের কোষে যুক্ত হতে পারে না। ফলে সংক্রমণ ঘটে না। ভাইরাস নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
[৫] সেলেন্স বলেন, লামার সামান্য রক্ত থেকে বিশেষ অ্যান্টিবডি তৈরির কোষ বের করা কঠিন। সেগুলোর মধ্য থেকেও আবার ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার মতো শক্তিশালী কোষ বেছে নিতে হয়। কোভিড সংক্রমিত মানুষের শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি প্রবেশ করানোই তাদের লক্ষ্য। এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ করা হবে। শিল্পক্ষেত্রে বড় ব্যাপক আকারে অ্যান্টিবডি উৎপাদন করা সম্ভব হলে তা পরোক্ষভাবে টিকাদান কর্মসূচির মতো হবে।
[৬] তিনি বলেন, গবেষণার ফলাফল বেশ সম্ভাবনাময়। সবকিছু ঠিকমতো চললে আগামী বছরই লামার অ্যাক্টিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট (অ্যান্টিবডির ইনজেকশন) বাজারে আসবে। তারকা হয়ে উঠবে ‘উইন্টার’ নামের লামাটি।
[৭] লামার মালিক কুন ফানমেখেলেন বলেন, প্রকৃতি সবকিছু দিতে পারে। শুধু কৌশল শিখতে হবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে
আপনার মতামত লিখুন :