রহিদুল খান: [২] ভবদহে টিআরএম চালু, আমডাঙ্গা খাল সংস্কার, হরি, শ্রী, টেকা, মুক্তেশ্বরী নদীর সঙ্গে ভৈরবের সংযোগ, ২১ ও ৯ ভেন্টের মাঝ দিয়ে সরাসরি নদী সংযোগ, নদী ও খাল থেকে সব ধরনের পাটা-বাঁধ অপসারণের দাবিতে হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন জলাবদ্ধ এলাকার নারী-পুরুষ।
[৩] ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উদ্যোগে ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচিতে ভবদহ অঞ্চলের শত শত নারী-পুরুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেন।
[৪] সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অভয়নগর উপজেলার মশিয়াহাটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জলমগ্ন মাঠে ভুক্তভোগী নারী-পুরুষ তাদের দাবি-দাওয়াসম্বলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করেন।
[৫] এসময় বক্তারা বলেন, গত তিন মাস ধরে তলিয়ে রয়েছে হাজার হাজার হেক্টর ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের। পানি উঠে এসেছে ঘর-বাড়িতে। এ অবস্থায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ভবদহ অঞ্চলের ৪০ গ্রামের কয়েক লাখ মানুষ।
[৬] তারা আরো বলেন, ভবদহের সমস্যা প্রায় ৬০ বছরের। ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনের নামে জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা লুটপাট ও বাণিজ্য করে চলেছেন। স্থানীয়রা এ থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থায়ী সমাধান চান। এজন্য সেনাবাহিনীর মাধ্যমে পরিকল্পিত জোয়ারাধার প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পানি বের হওয়ার অন্যতম পথ আমডাঙ্গা খালটি ফের খননের মাধ্যমে প্রশস্ত করার দাবি জানান তারা।
[৭] মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, অনিল বিশ্বাস, সংগঠনের আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালী, সদস্যসচিব অধ্যাপক চৈতন্য পাল, গাজী আব্দুল হামিদ, মফিজুর রহমান নান্নু, প্রদীপ হালদার, কার্তিক বকশী, শিবুপদ বিশ্বাস, মানব মণ্ডল, কনৌজ বিশ্বাস, উত্তমকুমার মণ্ডল, শেখর বিশ্বাস, রাজু আহমেদ, পার্থপতিম বৈরাগী, অনির্বাণ ধর এবং সুকৃতি রায় প্রমুখ। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :