নূর মোহাম্মদ : [২] আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগীয় দুর্নীতি পাশাপাশি চলতে পারে না। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হয় তাহলে আইনের শাসন কখনোই বাস্তব রুপ কখনই লাভ করবে না। রাজধানীর কয়েকটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি নিয়ে সরকারের করা রিট মামলায় জারি করা রুলের রায়ে এ অভিমত দেন হাইকোর্ট।
[৩] বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ দেন। গত বছরের ১১ ডিসেম্বর এ রায় ঘোষণা করা হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশিত হয়।
[৪] রায়ে বলা হয়, মূসা খালেদের নেতৃত্বে তৎকালীন প্রথম সেটেলমেন্ট আদালত, ঢাকা নজিরবিহীন ইতিহাস সৃষ্টি করেন। বিনা দালিলিক এবং সাক্ষ্য ব্যতিরেকে হাজার কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি জালিয়াত চক্রের হাতে তুলে দেন। এই কাজের মাধ্যমে তৎকালীন প্রথম সেটেলমেন্ট আদালত বিচার বিভাগের মর্যাদাহানি করেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
[৫] রায়ে আরও বলা হয়, মানুষের আশা-আকাঙ্খার সর্বশেষ জায়গা হলো বিচার বিভাগ। যখন এই শেষ আশ্রয়স্থলের বিচারকরা দুর্নীতির মাধ্যমে রায় বিক্রি করেন, তখন সাধারণ মানুষের আর যাওয়ার জায়গা থাকে না। তারা হতাশ হন, ক্ষুব্ধ হন এবং বিকল্প খুঁজতে থাকেন। তখনই জনগণ মাস্তান, সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মাফিয়া নেতাদের আশ্রয় গ্রহণ করে তাদের কাছে বিচার চান।
[৬] রায় প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসককে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে নালিশি সম্পত্তিটি উদ্ধার করে নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টে হস্তান্তর করতে বলা হয়। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে হলফনামা দিতে বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :