শাহীন খন্দকার : [৩] মৎস্য অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, শিল্পের প্রসার, কৃষির আধুনিকায়নে ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে প্রাকৃতিক জলাভূমি সংকুচিত হয়ে উৎপাদনশীলতা হারিয়েছে।
[৪] তিনি বলেন, দেশের ভরাট হওয়া সরকারি খাস জলাশয় পুন:খননের মাধ্যমে প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদনের আওতায় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধিসহ গ্রামীণকর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
[৫] প্রকল্প পরিচালক বলেন, মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনে “জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি শীর্ষক” প্রকল্প ৪০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে অক্টোবর ২০১৫ থেকে জুন ২০২২ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে।
[৬] ৬১ টি জেলার (৩ পার্বত্য জেলা ব্যতিত) ৩৪৯ উপজেলার ২,৫৯৭.৪৩ হেক্টর আয়তনের তালিকাভুক্ত পতিত জলাশয় পুন:খননের মাধ্যমে মৎস্যচাষ উপযোগী করে সংস্কার করা হবে।
[৭] মেয়াদ শেষে মোট ১০,২৩৪.০০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদনসহ ১৮,১৮২ জন মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এরইমধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত প্রায় ১২৮১.০ হেক্টর জলাশয় পুন:খনন করা হয়েছে।
[৮] খননকৃত জলাশয়ের মোট ১০৬০০ জন সুফলভোগীকে সংগঠিত করে প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক ও পরিবেশ বান্ধব মাছচাষের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। জলাশয় হতে বাৎসরিক ৬,৮০১.০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত মাছ উৎপাদনসহ (৫.০ মে.টন/ হেক্টর/ বছর) এবং ৮,৭০৯ জন মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে (প্রতি হেক্টরে ৭ জন)। উৎপাদিত মাছের বাজার মূল্য প্রায় ১০২.০০ কোটি টাকা। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব