সিরাজুল ইসলাম: [২] প্রতিবেশী দুই দেশ- আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে রোববার অষ্টম দিনের মতো সংঘর্ষ হয়। এদিন কারাবাখ অঞ্চলের প্রধান শহর খানকেন্ডিতে বেশ কয়েকটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
[৩] আজারবাইজান বলেছে, আর্মেনিয় সেনাবাহিনীর হামলার পর তারা খানকেন্ডি শহরে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। তিন লাখ ৩০ হাজার অধিবাসীর গানজা শহরে রকেট হামলা ও গোলাবর্ষণ করেছে আর্মেনিয়ার। শহরের বেশ কয়েকটি বেসামরিক এলাকায়ও হামলা হয়। শহরটি কারাবাখ থেকে অনেক দূরে এবং আর্মেনিয়া সীমান্তের কাছে। এটি আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর।
[৪] আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলীয়েভ একদিন আগে ঘোষণা করেছিলেন, তার সামরিক বাহিনী কারাবাখ অঞ্চলের সাতটি গ্রাম দখলে নিয়েছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ বক্তব্য সমর্থন করে বলেছে, তাদের সামরিক বাহিনী আরও বেশ কিছু নতুন এলাকা দখল করেছে।
[৫] আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইয়েরেভান (আর্মেনিয়ার রাজধানী) সমর্থিত সেনারা কারাবাখ অঞ্চলে আজারবাইজানের একটি বড় ধরনের হামলা প্রতিহত করেছে। ওই হামলা প্রতিহত করার সময় দুপক্ষে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
[৬] আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, কারাবাখে আজারবাইজানের হামলা প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে তারা। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান বলেছেন, তারা বিজয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না।
আপনার মতামত লিখুন :