মঈন উদ্দীন: [২] এক মাস ধরেই রাজশাহীতে সবজির বাজার অস্থিতিশীল। বারবার ওঠানামা করছে সবজির দাম। সবজি কিনতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস উঠলে আপাতত দাম কমার কোন সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বরং দফায় দফায় বাড়ছে সবজির দাম।
[৩] নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি সবজির দামই চড়া। মাত্র দুই একদিনের ব্যবধানেই কোন কোন সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বারবার সবজির দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা আছেন নির্বিকার।
[৪] বিক্রেতারা বলছেন, বন্যার এই সময়ে সবজির দাম বেড়ে যাওয়াটা অনেকটাই স্বাভাবিক। তারাই বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে সবজি কিনছেন। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। তবে বিক্রেতাদের এই বক্তব্য মানতে নারাজ ক্রেতারা।
[৫] এদিকে ক্রেতাদের দাবি, বন্যা পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এই পরিস্থিতিতে যতটা দাম বাড়ার কথা তার চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন তারা। বাজারে সব সবজির দামই ছিলো খুব চড়া। মাছ ও মাংস আগের মতোই স্থিতিশীল থাকলেও সবজির দাম খুব বাড়তি। পটলের দাম কেজিতে একদিনের ব্যবধানইে বেড়েছে ১০ টাকা। পটল বৃহস্পতিবার ৫০ টাকা কেজি থাকলেও শুক্রবার ছিল ৬০ টাকা। বেগুনেরও দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ টাকা করে। বেগুন এখন ৭০ টাকা কেজিতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দাম বেড়েছে ঢেঁড়সেরও। ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও এখন ৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। বাড়তি দাম টমেটো, করলা, পটলেরও। করলা ও টমেটোর দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ টাকা করে।
[৬] গত তিন দিন আগেও টমেটো ৫০ টাকা কেজি থাকলেও এখন ৭০ টাকায় কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। তেমনি করলার দাম বেড়ে কেজি প্রতি হয়েছে ৮০ টাকা করে। শসার দাম হয়েছে লাগামছাড়া। শসা কয়েকদিন আগে ৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেলেও এখন ডাবল দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। শসার দাম বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। তবে কোন কোন দোকানে ৭০ টাকা কেজিতেও পাওয়া যাচ্ছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :