ফেনী প্রতিনিধি: [২] ফেনীতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পুড়ে গেল বিদ্যালয়ের একটি আধা পাকা ভবন। শুক্রবার (২ অষ্টোবর) ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের বাগেরগাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে। এতে ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার টেবিল ও বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
[৩] দমকল বাহিনী ও বিদ্যালয় সুত্র জানায়, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফেনী সদর উপজেলার বাগেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি আধা পাকা ভবনে স্থানীয় লোকজন আগুন জ¦লতে দেখেন। শুক্রবার হওয়ার কারণে তখন বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক-কর্মচারীও ছিল না।
[৪] স্থানীয়রা নিজেদের চেষ্টায় আগুন নেভানো জন্য এগিয়ে আসে। ফেনী ফায়ার সার্ভিসকেও বিদ্যালয় ভবনে আগুন লাগার খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও দ্রুত ওই স্থানে পৌঁছ হয়। ততক্ষণে বিদ্যালয়ের আধা পাকা ভবনটি সম্পুর্ন পুড়ে যায়।
[৫] বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র দেলোয়ার হোসেন জানান, বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের আধা পাকা ভবনটিতে আগুন দেখে শোরচিৎকার শুরু করে। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন।
[৬] বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন জানান, ১১০ ফুট দৈঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থ বিদ্যালয়ের এ আধা পাকা ভবনটিতে তিনটি শ্রেণি কক্ষ ও বিজ্ঞানাগার ছিল। তিনি দাবি করেন, এতে ভবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বসার চেয়ার টেবিল, আলমারি ও বিজ্ঞান বিভাগের যন্ত্রপাতিসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের আরও একটি পাকা ভবন থাকলেও ওই ভবনে সব শ্রেণির পাঠদান সম্ভব হবে না। নতুন করে ভবন নির্মান করা না হলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম ও পাঠদান করা যাবেনা।
[৭] বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি শাহেদ রেজা জানান, ১৯৯৬ সালে শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষ সংকট ও পাঠদানে অসুবিধা হচ্ছে দেখে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই আধা পাকা ভবনটি নির্মান করে দিয়েছিলেন।
[৮] ফেনী ফায়ার সার্ভিসের স্টশেন মাস্টার রাশেদ বিন খালেদ জানান, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী