শাহীন খন্দকার: [২] শীতকালে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ বা ‘সেকেন্ড ওয়েভ’ আসবে। এমন আশঙ্কা করছেন অনেকেই বললেন এই চিকিৎসক। তিনি বলেন, এটা আসতেও পারে নাও আসতে পারে। তবে সাবধান থাকাই এখন বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ শীত ঋতুতে তাপমাত্রা অনেক কমে যায়। তাই শীতকালে ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
[৩] তবে বাংলাদেশের মানুষের চলাফেরা এখন আগের চেয়ে বেশি। এই সমাগম থেকে সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। ইতিমধ্যে আইইডিসিআরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তারা বলেছেন, শীতকালে করোনা ভাইরাসের ওপর বাংলাদেশের তাপমাত্রার কোনো প্রভাব নাও পড়তে পারে।
[৪] তবে ইউরোপ-আমেরিকার মতো আমাদের দেশে শীত পড়ে না। এখানে শীতকালে সাধারণ রোগ যেমন-বাচ্চাদের ক্ষেত্রে শ্বাসতন্ত্রের রোগ বেশি হয়। যাদের অ্যাজমা সমস্যা আছে তাদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। এর মধ্যে কারো যদি করোনা হয়, তাহলে তার অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
[৫] তাই সবার সাবধান থাকতে হবে, দ্বিতীয় ঢেউ আসুক বা না আসুক। তিনি বলেন, শীতকালে করোনাভাইরাস আসবে মানুষ যেটা ধারণা করছে এর বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। শুধু কাল্পনিক চিন্তা মাত্র। এটা আসতেও পারে নাও আসতে পারে। দীর্ঘ আট দশ মাসে করোনা ভাইরাসের চরিত্র (গঠন ও প্রকৃতি) পরিবর্তনও হতে পারে। এটা আগের মতো নাও থাকতে পারে।
[৬] এসময়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সরকার,এনজিও এমনকি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনগুলো কাজ করছে। সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাই ভ্যাকসিনের মতো কাজ করবে।
আপনার মতামত লিখুন :