ডেস্ক রিপোর্ট: দাপুটে জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো ম্যানচেস্টার সিটি। রহিম স্টার্লিংয়ের জোড়া গোলে চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে বার্নলিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে সিটিজেনরা। এদিকে, কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। ব্রাইটনকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা।
ক্রীড়ার একটা শক্তিশালী ভাষা আছে। খেলার ময়দানে বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের এই দৃশ্যায়ন তাই এতোটা অবলীলায় করা যায়। ইউরোপের আসরগুলোতে এ চিত্র নিয়মিতই দেখা যাচ্ছে।
রেফারির বাঁশিতে ফুটবলাররা ফেরেন খেলার মেজাজে। লিগ কাপে ম্যানচেস্টার সিটির সবশেষ হার ২০১৬ সালের অক্টোবরে। পরের ৩ আসরেই গার্দিওলার দল হয়েছে চ্যাম্পিয়ন। টার্ফমুরেও ফেবারিটের মতোই খেলেছে তারা। সফররতদের আক্রমণভাগকে সামলাতে হিমশিম খেয়েছে বার্নলি। শুরুর ২০ মিনিটে অন্তত ৩টি সুযোগ পেয়েও ম্যানচেস্টার সিটিকে গোল এনে দিতে পারেননি স্টার্লিং।
কিন্তু, ৩৫ মিনিটে আর ভুল হয়নি। মেন্ডির অ্যাসিস্টে স্কোরশিটে নাম ওঠান ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
৪৪ মিনিটে মাহরেজের শট বারপোস্টে লেগে ফিরলে, লিড বাড়ানোর সুযোগ হারায় গার্দিওলার দল।
তবে, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই তোরেসের অ্যাসিস্টে ব্যবধান বাড়ান স্টার্লিং। এরপর ৬৫ মিনিটে স্টার্লিংয়ের অ্যাসিস্টে স্কোর করেন তোরেস। ৭১ মিনিটে সুযোগ পেয়েও হ্যাট্রিক মিস করেন স্টার্লিং। যদিও তাতে ৩-০ গোলের জয় নিয়ে লিগ কাপের কোয়ার্টারে যেতে সমস্যা হয়নি সিটিজেনদের।
নগর প্রতিদ্বন্দ্বীরাও বা পিছিয়ে থাকবে কেনো! ১৭ মিনিটে ইঘ্যালোর শট ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলো ব্রাইটন সমর্থকদের মনে। যদিও ভয়ে কাবু হননি স্বাগতিক ফুটবলাররা। ২৬ ও ৩৬ মিনিটে দু'টি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলো তারা।
তবে, কাজের কাজটি করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডই। ৪৪ মিনিটে হুয়ান মাতার ফ্রি কিক থেকে পাওয়া বলে মাথা ছুঁইয়ে ডেডলক ভাঙেন ম্যাকটোমিনেই।
ইউনাইটেড গোলরক্ষক ডিন হেন্ডারসন এমন সেইভ করতে না পারলে ৬৭ মিনিটে সমতায় ফিরতো ব্রাইটন।
সফরকারীদের সমতায় ফেরার আশা ভঙ্গ হয় ৭৩ মিনিটে মাতার গোলে রেড ডেভিলরা লিড দ্বিগুণ করলে।
লড়াইয়ে আর ফেরা হয়নি সিগ্যালদের। ৮০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে পগবার চোখ ধাঁধানো গোলে শেষ পর্যন্ত স্কোরলাইন ৩-০।
আপনার মতামত লিখুন :