জেরিন আহমেদ: [২] দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, সম্প্রতি ভারতে অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়। বিজেপি সরকার নিরাপত্তার অজুহাত দিলেও মূল কারণ রাজনৈতিক। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও একই পথে হাঁটার চেষ্টা করছে।
[৩] পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফরাজ ইমরানকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের বলেন, সামাজিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এই অ্যাপ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করেছেন। একই অভিযোগে সিঙ্গাপুর ভিত্তিক বিগোলাইভ অ্যাপ পাকিস্তান নিষিদ্ধ করেছে। টিকটককে তারা শেষবার সতর্ক করে ২১ জুলাই।
[৪] বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক পাকিস্তানে তৃতীয় সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ। চলতি বছরেই এটি ৪.৬ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে।
[৫] তুমুল জনপ্রিয় এই অ্যাপটি নিয়ে পাকিস্তান সরকার বেশ চাপে আছে। জুলাই মাসে ৫০০টি অভিযোগ পড়ে অ্যাপটির নামে।
[৬] পাকিস্তান প্রশাসন জানিয়েছে, এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[৭] পাকিস্তানে সম্প্রতি এক টিকটক ব্যবহারকারী তরুণী আরেক টিকটক ব্যবহারকারী যুবকের কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। টিকটকের মাধ্যমেই তাদের পরিচয়। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার এই ঘটনার সমালোচনা করে টিকটককে এক হাত নেয়।
[৮] দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, টিকটক চীন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য সরবরাহ করে। এমন আলোচনার ভেতর টিকটকের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশে জানান, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাইটড্যান্সকে তাদের টিকটক অ্যাপের ইউএস ভার্সন হয় বিক্রি করতে হবে, না হয় ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ওরাকলের সঙ্গে চুক্তি করে টিকটকের ইউএস ভার্সন। তবে মালিকানা পুরোপুরি বিক্রি করেনি কোম্পানিটি।
[৯] উল্লেখ্য, ভারতে নিষিদ্ধ হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনের টিকটক অ্যাপ নিরাপত্তার কারণে বন্ধ করতে চাইছে, তখন পাকিস্তান তুলল ‘অনৈতিকতার’ অভিযোগ।
টুডে নিউজ, দেশ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :