শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২০, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কক্সবাজার রামুতে ভূয়া গোয়েন্দা আটক!

হাবিবুর রহমান: [২] কক্সবাজারের রামুতে ডিজিএফআইয়ের সোর্স পরিচয় দিয়ে লোকজনকে হয়রানি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজিকালে এক যুবককে আটক করেছে জনতা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমার ওই যুবককে অর্থদন্ড প্রদান করেন। অর্থদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল খন্দকার (৩২) সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌর এলাকার রুপপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মৃত খন্দকার মশরফ হোসেনের ছেলে।

[৩] জানা গেছে, অর্থদন্ডপ্রাপ্ত রাসেল খন্দকার উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় একটি বেকারি প্রতিষ্ঠানে সেলসম্যান হিসেবে কর্মরর্ত ছিলেন। এ সুযোগে উখিয়া-টেকনাফের প্রত্যন্ত এলাকায় নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা ও সোর্স পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। সম্প্রতি রামু উপজেলায়ও তিনি নিজেকে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য এবং সোর্স পরিচয় দিয়ে লোকজনকে হয়রানি ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

[৪] রামুর খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদিঘী এলাকার স’মিল মালিক সাহাব উদ্দিন জানান, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ টায় অভিযুক্ত রাসেল খন্দকার তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজেকে ডিজিএফআই এর সোর্স দাবি করে। এক পর্যায়ে সে স’মিলটি অবৈধ উল্লেখ করে ১০ হাজার টাকা দাবি করে।

[৫] এসময় সেখানে উপস্থিত লোকজন তার পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তিনি উল্টো তাদের হুমকি-ধমকি দেন। এক পর্যায়ে তার সাথে উপস্থিত লোকজনের হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চৌকিদারসহ জনতা তাকে আটক করে রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যান। এসময় রাসেল খন্দকার নিজের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

[৬] দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা, অর্থদন্ড (জরিমানা) প্রদান এবং এ ধরনের অপকর্ম করবে না মর্মে মুচলেখা নিয়ে রাসেল খন্দকারকে ছেড়ে দেন।

[৭] অভিযুক্ত রাসেল জানান, তিনি মিষ্টিবন নামের একটি বেকারিতে সেলসম্যান হিসেবে চাকরি করেন। মাঝে মাঝে তিনি কোন অনিয়ম-দূর্ণীতির তথ্য পেলে প্রশাসনকে দিয়ে সহায়তা করেন। তিনি নিজেকে ডিজিএফআই এর সোর্স পরিচয় দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।

[৮] উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন-রাসেল খন্দকার একজন চিহ্নিত প্রতারক। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের প্রতারনার অনেক অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে জরিমানা আদায় ও মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়