ডেস্ক রিপোট : মার্কিন নাগরিকদের খাবারের তালিকায় আবারো স্থান পেতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা মাংস। ২০ বছর পর দেশটিতে গরুর মাংস রফতানি আবারও শুরুর অনুমতি পেয়েছে ব্রিটেন। বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এই রফতানি শুরু হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।সময়টিভি
বোভাইন স্পঞ্জিফর্ম এনসেফেলোপ্যাথি- বিএসই গরুর পাগল হয়ে যাওয়ার এক ধরনের রোগ সম্পর্কে সতর্ক করার পর ১৯৯৬ সালে দু’দেশের মধ্যে গরুর মাংস বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। একই সময়ে শুকরের মাংস রফতানি অব্যাহত থাকলেও ভেড়ার মাংস রফতানিও বন্ধ করা হয়। গরুর মাংস রফতানি শুরু হলেও ভেড়ার মাংস রফতানি এখনো শুরু হয়নি। সেটি কবে নাগাদ শুরু হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছুই জানায়নি বিবিসি।
গত বছর (২০১৯ সাল) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্রিটেনের ভেড়া, গরুর মাংস, শুকরের মাংস নিয়ে একাধিক নিরীক্ষা পরিচালনা করে। তারপর এ বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাজ্যের গরুর মাংসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে। পর্যবেক্ষণ দল মাংস উৎপাদন ফার্মগুলো পরিদর্শনের পর কিছু গরুর গোশত রফতানি উপযোগী হিসেবে সুপারিশ করে। সে অনুযায়ী উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফয়েল ফুড গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রে মাংসের প্রথম চালান পাঠানোর অনুমতি পেয়েছে।
যুক্তরাজ্যের কৃষি উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক ড. ফিল হ্যাডলি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের (ব্রিটেনের) লাল মাংসের বড় বাজার। ২০ বছর পর দেশটিতে পুনরায় রফতানি শুরু হওয়া অনেক ভালো খবর। আজ যে চালানটি পাঠানো হলো সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমাদের আরো কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এটি একটি মাইল ফলক। আমরা যুক্তরাষ্ট্রর মানুষের খাবারের মেনুতে আমাদের মাংসের একটা দাপট দেখতে চাই। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এটি অবশ্যই সম্ভব।’
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সচিব লিজ ট্রস বলেছিলেন "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তা ব্রিটিশ কৃষিকাজের জন্য রফতানির অনেক বড় সুযোগ তৈরি করবে। ব্রিটিশ কৃষক এবং মার্কিন গ্রাহকদের উপকৃত করবে এমন একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন চুক্তির দিকে আমরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।’
এদিকে, যুক্তরাজ্য বাণিজ্য চুক্তির ক্ষেত্রে পরিবেশ, প্রাণী কল্যাণ এবং খাদ্য মানের বিষয়ে আপস করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।