সোহেল রহমান : [২] ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনিতে (জোন-এ) সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৮০০ বর্গফুটের ৭৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও ৮০ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার ক্রয়ের তিনটি পৃথক প্রস্তাবসহ চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে ‘সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’। এতে মোট ব্যয় হবে ৩৩৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
[৩] বুধবার সচিবালয়ে ক্রয় কমিটির এ ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং-এ অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ক্রয় কমিটির বৈঠকে চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং একটি ক্রয় প্রস্তাবে মাত্র একজন দরদাতা অংশ নেয়ায় সেটি বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহবানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের তিনটি প্রস্তাব তালিকাভুক্ত ছিল, তিনটি প্রস্তাবই প্রত্যাহার করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
[৪] অর্থমন্ত্রী জানান, বৈঠকে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকার আজিমপুর সরকারি কলোনির অভ্যন্তরে (জোন-এ) ‘সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৮০০ বর্গফুটের ৭৬টি ফ্ল্যাট নির্মাণসহ আনুষঙ্গিক’ পূর্ত কাজের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ কাজটি পেয়েছে ‘নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। এতে ব্যয় হবে ১৬০ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
[৫] তিনি জানান, বৈঠকে ইউরিয়া সার ক্রয়ের তিনটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ‘বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’ (বিসিআইসি) কর্তৃক ‘কাফকো’ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৬৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা।
[৬] এছাড়া সৌদি আরবের ‘সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন’ (সাবিক) থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৬ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অন্যটি হচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত-এর ‘রুওয়েইস ফার্টিলাইজার ইন্ডাস্ট্রিজ’ থেকে ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৫৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
[৭] অর্থমন্ত্রী জানান, বৈঠকে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-পাকশী-দাশুরিয়া জাতীয় মহাসড়ক এর কুষ্টিয়া শহরাংশ চারলেনে উন্নীতকরণসহ অবশিষ্টাংশ যথাযথ মানে উন্নীতকরণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং ডব্লিউডি-০৫-এর পূর্ত কাজ সম্পাদনে একটি মাত্র দরপত্র জমা পড়ায় তাই ক্রয় প্রস্তাবটি বাতিলপূর্বক নতুনভাবে ক্রয়কার্য পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্যাকেজ কাজটি বাস্তবায়নে ১৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছিল দরদাতা প্রতিষ্ঠান। পূর্ত কাজগুলো হচ্ছে সড়ক উঁচুকরণে ১.৭৫ লাখ ঘনমিটার মাটির কাজ, ১.২০ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ, ১১.৮০ কিলোমিটার বিদ্যমান পেভমেন্ট পুনঃনির্মাণ, ১১.৮০ কিলোমিটার সার্ফেসিং, হার্ডসোল্ডার নির্মাণ, ১১.৮০ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক উন্নয়ন, ৮টি বাস- বে, মিডিয়ান, রোড মার্কিং, সাইন, সিগনাল, লাইট স্থাপন ইত্যাদি।
এদিকে ক্রয় কমিটির বৈঠকের আগে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ‘অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে একটি প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি হচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘ইমপ্রুভমেন্ট ঢাকা (জয়দেবপুর)-ময়মনসিংহ রোড ইনটু এক্সপ্রেসওয়ে উইথ সার্ভিস লেন অন বোথ সাইড’। প্রকল্পটি ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় জি-টু-জি ভিত্তিতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান ‘কোরিয়া ওভারসীজ ইনফ্রাসস্ট্রাকচার অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’ বাস্তবায়ন করবে।
আপনার মতামত লিখুন :