সমীরণ রায় : [২] ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রকাশিত ‘পার্লামেন্টওয়াচ: একাদশ জাতীয় সংসদ-প্রথম থেকে পঞ্চম অধিবেশন (জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০১৯)’ শীর্ষক প্রতিবেদন ভার্চ্যুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের মধ্যে ১১ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও তার নিচে। উচ্চ মাধ্যমিক বা এইচএসসি পাস প্রায় ১২ শতাংশ। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর/তদূর্ধ্ব প্রায় ৭৭ শতাংশ সংসদ সদস্য। আর ব্যবসায়ী ৬১ শতাংশ, আইনজীবী ১৩ শতাংশ, রাজনীতিক ৫ শতাংশ, অন্যান্য ২১ শতাংশ (শিক্ষক, চিকিৎসক, কৃষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তা, গৃহিণী, পরামর্শক ইত্যাদি)।
[৩] এতে বলা হয়, একাদশ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার শরিক দলের ৮৯ শতাংশ আসন। বিরোধীদল জাতীয় পার্টির আসন ৭ ও বিরোধী সদস্যরা রয়েছেন ৪ শতাংশ আসনে। সরাসরি নির্বাচিতদের মধ্যে পুরুষ ৯২ ও নারী ৮ শতাংশ। সংরক্ষিত আসনসহ এই হার যথাক্রমে ৭৯ ও ২১ শতাংশ। সংসদে নারী সদস্যের হার সুইডেনে ৪৭ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪৬ শতাংশ, নেপালে ৩৩ শতাংশ ও যুক্তরাজ্যে ৩২ শতাংশ।
[৪] এতে আরও বলা হয়, প্রথম সংসদে ১৮ শতাংশ সদস্যের পেশা ছিল ব্যবসা যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে একাদশ সংসদে এসে দাঁড়িয়েছে ৬১ শতাংশে। অন্যদিকে ভারতের ১৭তম লোকসভায় সংসদ সদস্যদের মধ্যে রাজনীতিক ৩৯ শতাংশ, ব্যবসায়ী ২৩ শতাংশ, আইনজীবী ৪ শতাংশ এবং অন্যান্য পেশার সদস্য রয়েছেন ৩৮ শতাংশ।
[৫] বুধবার টিআইবি এ তথ্য জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :