শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৩ সকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৯:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] রাজবাড়ীতে পদ্মার ভাঙনে ‘পর্যটন কেন্দ্র’ বিলীন

ইউসুফ মিয়া: [২] রাজবাড়ী শহরতলির গোদারবাজার এলাকায় পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এক রাতেই বিলীন হয়ে গেছে গোদারবাজার পর্যটন কেন্দ্র। গোদারবাজারের নদীতীরবর্তী যায়গায় অবস্তিত পর্যটন কেন্দ্রের দেড়শ মিটার এলাকা। হুমকিতে রয়েছে শহর রক্ষা বাঁধও। আতঙ্কে বাড়ি-ঘর সরাতে শুরু করেছে পদ্মা তীরবর্তী বাসিন্দারা। তবে ভাঙনরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

[৩] বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে গোদারবাজার এলাকায় সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদীতীরে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য জেলা প্রশাসনের নির্মাণ করা দর্শনীয় ছাউনিটি নেই। বিলীন হয়ে গেছে নদীতে ও ভ্রমণ পিপাসুদের বসার জন্য কয়েকটি বেঞ্চও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। নদীতীরে গাছপালা কেটে ফেলা হচ্ছে। অনেকই সরিয়ে নিচ্ছে ঘর-বাড়ী। নদী থেকে শহর রক্ষা বাঁধ প্রায় ১৫০ মিটার দূরে। এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভেঙ্গে যে কোনো সময় বাঁধ নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

[৪] গোদারবাজার এলাকার বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাত ১০টা থেকে ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তে বিলীন হয়ে যায় নদীতীরের সব স্থাপনা। ভাঙনের কারণে ঐ এলাকয় অনেকই বেকার হয়ে পরেছে এবং ঘর-বাড়ি নিয়েও ভয়ে আছেন।

[৫] আব্দুল কুদ্দুস মোল্লার বাড়ি ও দোকান দুটোই নদীর তীরে। পেশায় তিনি একজন দর্জি। তিনি জানান, জীবন-জীবিকা, পরিবার, ঘরবাড়ি সবকিছু নিয়েই শঙ্কায় আছি। রাতে মুহূর্তের মধ্যে সব চলে গেল নদীতে।

[৬] রাজবাড়ী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আহাদ বলেন, ভাঙনের খবর পেয়ে রাতেই তিনিসহ পাউবোর অন্য কর্মকর্তারা ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি ফরিদপুর সার্কেল অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রধান প্রকৌশলীকে অবহিত করেছেন। তাদের নির্দেশে রাতেই ভাঙনকবলিত এলাকায় দুই হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

[৭] তিনি আরো বলেন, বর্ষা মৌসুমে ব্লক ডাম্পিংয়ের কাজ বন্ধ থাকে। নদীতে হঠাৎ পানি বৃদ্ধির কারণে এ ভাঙন দেখা দিয়েছে। তবে দ্রত পদক্ষেপের কারণে ভাঙন কমে এসে স্থিতিশীল পর্যায়ে রয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়