শিরোনাম
◈ রাজধানীর কলাবাগানে হাসপাতালের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ◈ রাজধানীর কলাবাগানে হাসপাতালের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু ◈ উত্তরায় তরুণীকে ধর্ষণ, ৯৯৯ এ ফোনে উদ্ধার, পালিয়েছে অভিযুক্ত ◈ মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩ ◈ বুয়েটে ছাত্রলীগকে প্রবেশে সহায়তা , এক শিক্ষার্থীর হলের সিট বাতিল ◈ আঙ্গুরের ওপর বর্ধিত শুল্ক প্রত্যাহার করতে বাংলাদেশের কাছে ভারতীয় চাষীদের আবেদন ◈ টেকনাফে ৮শত টাকার জন্য বন্ধুর মাথায় গুলি ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার থাকলেও সংকট বিশুদ্ধ পানির ◈ কিছুটা কমেছে পেঁয়াজ ও সবজির দাম, বেড়েছে আলুর ◈ দেশের ৯২ শতাংশ মানুষ দ্বিতীয় কোনো ভাষা জানেন না, সময় এসেছে তৃতীয় ভাষার

প্রকাশিত : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:০৭ সকাল
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ০৮:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] লক্ষ্মীপুর হামছাদীতে শিল্পীর ভয়ংকর প্রতারণার ফাঁদ

জাহাঙ্গীর লিটন: [২] শুধু নামেই নয়, কাজেও চতুর শিল্পী বেগম (৪০)। কখনো মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আবার কখনো সমাজসেবা কর্মকর্তা আবার কখনো বড় কর্মকর্তার সাথে বিশেষ সখ্যতার দোহাই দিয়ে গ্রামের দরিদ্র অসহায় নারী ও পুরুষদের ফাঁদে ফেলে নিজের ইচ্ছা মাফিক অর্থ আদায় করাই হলো শিল্পীর কাজ-কারবার। প্রতারণার মাধ্যমে অসংখ্য ভূক্তভোগীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। বীমার টাকা লেনদেন নিয়ে এলাকায় অসংখ্য লোকের সঙ্গে তার বিরোধ রয়েছে তার। তবে এমন অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন আকলিমা আক্তার শিল্পী। তিনি এটিকে এলাকার একটি কুচক্রিমহলের পরিকল্পিত অপপ্রচার বলে দাবী করেছেন।

[৩] লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ২নং দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফজলুল হক আমিনের বাড়ির খোরশেদ আলমের স্ত্রী আকলিমা আক্তার শিল্পী (৪০)। বেশ কয়েক মাস থেকে সে এলাকার বহু সংখ্যক লোককে হত্যা মামলা থেকে রেহাই পাইয়ে দেওয়া, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, বসত ঘর নির্মাণ সামগ্রী, নগদ টাকা পাইয়ে দেওয়াসহ নানান প্রলোভনে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এলাকায় কোনো ঝামেলা হলে ডিবি, পুলিশ, র‌্যাব দ্বারা লোকজনকে হয়রানির হুমকি আবার কাউকে কাউকে রেহাই পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা কামানোই তার এখন নেশা ও পেশা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ। এলাকার কেউ তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করতে চাইলে তাকে নানান প্রভাবশালীদের নাম ভাঙ্গিয়ে হুমকি-ধমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।

[৪] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিল্পী পুলিশের ভয় দেখিয়ে হাসন্দির এলাকার হাজী বাড়ির জেসমিন আক্তারকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। দক্ষিণ হামছাদীর ধোপা বাড়ির রেখা বেগমের কাছ থেকে বিধবা ভাতার কার্ড নিয়ে দিবেন বলে ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। জাহানাবাদ রাজবাড়ির আনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ভাতা বইয়ের কাজের জন্য নিয়ে যান ১১ হাজার টাকা। জাহানাবাদ ফকির বাড়ির মোঃ হারুনের কাছ থেকে গোয়েন্দা পুলিশের নামে ১০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ রকম অসংখ্য লোকের কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাতে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ মিলেছে শিল্পী বেগমের কাছ থেকে। তিনি ব্যবহার করেন কয়েকটি কোম্পানীর ১০-১২টি মোবাইল সীম।

[৫] নানান অভিযোগ প্রসঙ্গে আকলিমা আক্তার শিল্পী বলেন, আমার বিয়ের বয়স ২৫ বছর। স্বামী মানসিক রোগী ১৮ বছর। ১৭ বছর ধরে প্রগতী ইন্স্যুরেন্সে কাজ করি। এলাকার কাদের, তোফায়েল মেম্বার ও চৌকিদার দুলাল মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। আমি সেই টাকার কাহিনী মোবাইলে রেকর্ড করি। তাদেরকে টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার কথা বলায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। একটি ঘটনায় সাক্ষ্য দেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে আসামিদের লোকজন ষড়যন্ত্র করছে। শুধুমাত্র অন্যায়ের প্রতিবাদ করাতেই আমার বিরুদ্ধে নানা মিথ্যা কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমিও ষড়যন্ত্রকারীদের ছেড়ে দেবো না।

[৬] দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর শাহ আলম বলেন, শিল্পী ও এলাকার অনেক মহিলার টাকা লেনদেন সংক্রান্ত ঝামেলার বিষয়টি আমিও শুনেছি। এলাকার লোকজন শিল্পীর বিরুদ্ধে বলছে। আবার শিল্পী এলাকার লোকজনের বিরুদ্ধে বলছে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়