নাজমুস সাকিব: [২] পঞ্চগড়ে লাইসেন্সবিহীন চা প্যাকেটজাত করার অপরাধে মিরপুরী টি হাউজের সত্বাধিকারী ফজলুল হককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
[৩] মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের শেখের হাট এলাকায় মিরপুরী টি হাউজের প্যাকেটজাত কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক পরেশ চন্দ্র বর্মন।
[৪] ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৩ ধারায় এই দণ্ডাদেশ দেন তিনি।
[৫] জানা গেছে, চা প্যাকেটজাত করে ব্যবসা করতে চা বোর্ড থেকে খুচরা-পাইকারী, বিডার ও ব্লেন্ডার লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু মিরপুরী টি হাউজের খুচরা-পাইকারী লাইসেন্স থাকলেও বিডার ও ব্লেন্ডার নেই। আর এসব ছাড়াই গত চার বছর ধরে চা প্যাকেটজাত করে দেদারছে ব্যবসা করছে মিরপুরীর সত্বাধিকারী ফজলুল। এতে একদিকে তিনি ফাঁকি দিচ্ছেন সরকারি রাজস্ব। অপরদিকে, চা এর মান ও অরিজিন নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন।
[৬] চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, কোন দেশ বা এমন স্থানের নামে চা এর লাইসেন্স প্রদান করা হবে না যাতে চায়ের অরিজিন সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। অথচ দেশের স্বনামধন্য ইস্পাহানি ব্রান্ডের মির্জাপুরী চা এর নাম অনুসারে মিরপুরী নাম দিয়ে গ্রাহকের সাথেও প্রতারণা করছেন ফজলুল।
[৭] তবে এসব বিষয়ে ফজলুল হক জানান, লাইসেন্স গুলো করার জন্য অনলাইনে আবেদন করেছি। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :